এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দেশের অন্য প্রান্তের মত বাংলাতেও ধর্মের রাজনীতি করতে গেলে ডুবতে হবে! জানাচ্ছেন বিজেপি নেতাই

দেশের অন্য প্রান্তের মত বাংলাতেও ধর্মের রাজনীতি করতে গেলে ডুবতে হবে! জানাচ্ছেন বিজেপি নেতাই

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে অনুষ্ঠিত তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফল সামনে এসেছে। সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তিনটিতেই পরাজিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। খড়গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জে যে উপনির্বাচন হয়েছিল, তারমধ্যে খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে বিগত লোকসভা নির্বাচনে অনেক ভোটের ব্যবধানে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এগিয়ে ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। তবুও মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে ভারতীয় জনতা পার্টির ভোট।

এর পিছনে কারণ অন্বেষণ করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই নানান বক্তারা নানান রকম যুক্তি দিচ্ছেন। কিন্তু এর মাঝখানে রাজ্য বিজেপির অন্যতম নেতা তথা ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সহ-সভাপতি চন্দ্রনাথ বোসের উক্তি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। চন্দ্রবাবুর মতে, বাংলায় ধর্মের রাজনীতি করা যাবে না। দেশের অন্যত্র যা সম্ভব, তা বাংলায় করা যাবে না। এখানে মানুষ রাজনৈতিকভাবে অবগত, শিক্ষিত।

আর চন্দ্রনাথবাবুর এই কথার মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সারাদেশের সাথে সাথে যে রাস্তায় ভারতীয় জনতা পার্টি চলছে, সেই পথ নিয়ে সংশয় রয়েছে দলের নেতাদেরই মনে। এক্ষেত্রে দলকে উপদেশ দিতে গিয়ে চন্দ্র বসু বলেন, “ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রান্তে যে ভাবনা সহজেই কার্যকর করা যায়, তা বিবেকানন্দ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের মাটিতে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে দলকে আরও অনুসন্ধান করতে হবে।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র বসুর উপদেশ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি থেকে শুরু করে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পর্যন্ত, যখন সকলেই এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থানে অবিচল, সেই সময় রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি চন্দ্র বলেন, “এনআরসি বিষয়টি সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। উপনির্বাচনের আগে কখনই এটা প্রাথমিক ভিত্তি হতে পারে না।” দলের নীতির কিছুটা উল্টো দিকে গিয়ে হেভিওয়েট এই বিজেপি নেতা বলেন, “রাজ্যে প্রাথমিক পরিকাঠামো উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা করা রাজনৈতিক দলের প্রথম কাজ।”

ভোটব্যাংকের জন্য মানুষের মধ্যে বিভেদ না তৈরি করারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও যে বিষয় নিয়ে কার্যত এবারের উপনির্বাচনের সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সেই নাগরিকপঞ্জি বিষয়ে বলতে গিয়ে চন্দ্র বসু আরও বলেন, “উপনির্বাচনের আগে কখনোই এটা প্রাথমিক ভিত্তি হতে পারে না। আমরা অন্য বিষয়ে কেউ আলোকপাত করতে পারতাম।” ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, গত লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে যে সমস্ত স্থানে সাধারণ মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টিকে সমর্থন করেছিল, সেই এলাকার মানুষরাই এখন ভারতীয় জনতা পার্টির নীতির উপর ভরসা রাখতে পারছে না।

নাগরিক পঞ্জি থেকে শুরু করে সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল, সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এছাড়াও দেশজুড়ে যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তার প্রভাবও উপনির্বাচনে পরিলক্ষিত হয়েছে। মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনের চাহিদা পূর্ণ না করে শুধুমাত্র ধর্মীয় ধ্রুবিকরণের মধ্যে দিয়ে যে মানুষের সমর্থন আদায় করা সম্ভব নয়, তাও স্পষ্ট‌। তাই বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে চন্দ্র বসু যে বিশ্লেষণ করেছেন, তা যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক এবং সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!