এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > ভাঙ্গনের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা দলে ভাঙ্গন রোধে নতুন কমিটি গঠন, কিন্তু এতেও কি রুখবে ভাঙ্গন?

ভাঙ্গনের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকা দলে ভাঙ্গন রোধে নতুন কমিটি গঠন, কিন্তু এতেও কি রুখবে ভাঙ্গন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঢল নেমেছিল। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া অনেকেই পরিবর্তনের ঘোষণা করেছিলেন, অনেকে ডবল ইঞ্জিন সরকারের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু, নির্বাচনে পরাজয়ের পর আজ অনেকেই দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একের পর এক নেতা দলের বিরুদ্ধে বেসুরো মন্তব্য করতেও শুরু করেছেন।

দলের রণকৌশল নিয়ে ও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আবার অনেকে তৃণমূলে ফিরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে দলের নিয়ম শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এক নতুন কমিটি গঠন করা হলো রাজ্য বিজেপিতে। যা দলের নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে, দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা বলা চলে।

গতকাল কলকাতার হেস্টিংস কার্যালয়ে রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীদের বৈঠকে এক নতুন কমিটির ঘোষণা করা হয়েছে। যে কমিটির ঘোষণা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই কমিটিতে রয়েছেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রথীন বসু সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী।

তবে, এই ধরনের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি পূর্বেও গঠিত হয়েছে। রাজ্য বিজেপিতে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই ধরনের কমিটি ইতিপূর্বেও বিদ্যমান ছিল। আবার, দ্বিতীয় দফায় রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কমিটি গঠন করেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার গতকালের বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দলের নেতা-নেত্রীদের জানিয়েছেন যে, প্রকাশ্যে দল বিরোধী কোনো বক্তব্য বা আচরণ মেনে নেয়া হবে না। এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন যে, নির্বাচনে পরাজয়ের পর থেকে দলের যে সমস্ত নেতাকর্মী সোশ্যাল মিডিয়াতে বা সরাসরি গণমাধ্যমে দল বিরোধী বক্তব্য রাখছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল।

এভাবে, দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব দূর করে দলের ভাঙ্গন রোধ করতেই নতুন কমিটি গঠন করল বিজেপি। কিন্তু যেভাবে দলের হেভিওয়েটদের বেসুরো হবার প্রবণতা বাড়ছে, দলের বিরুদ্ধে যেভাবে কাটাছেঁড়া করতে শুরু করেছেন দলের একাধিক হেভিওয়েট, তাতে দলের ভাঙ্গন কতটা রোধ করা যাবে? তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

কারণ, কিছুদিন আগেই দলের নেতাদের আত্মসমালোচনার অনুরোধ করেছিলেন মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায়। এবার দলের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা সব্যসাচী দত্ত। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিষ্ঠিত মুখ তুলে ধরতে পারিনি দল। তিনি জানালেন, তাঁর ভাল লাগতে পারে, নাও লাগতে পারে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন একজন প্রতিষ্ঠিত মুখ। ১০ বছর ধরে যিনি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকার পরিচালনা করেছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোন প্রতিষ্ঠিত মুখ তুলে ধরতে পারেনি দল।

এদিকে দলের কার্যপদ্ধতির বিরুদ্ধে সরব হলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নীতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন তিনি। জানা গেছে, দলের উগ্র হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন বলেই মনে করছেন তিনি। নির্বাচনের আগেও উগ্র হিন্দু নিয়ে তাঁর অসম্মতি ছিল। তবে, তাঁর কোনো কথাই শোনেনি দল। এভাবেই দলের একের পর এক হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। ফলে বড়োসড়ো ভাঙ্গনের কিনারায় পৌঁছে গেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাই শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করে দলের ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে রাজ্য বিজেপিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!