এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা শুরু করল প্রশাসন

ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখা শুরু করল প্রশাসন


পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এমনকি প্রকাশ্য জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি ‘জঙ্গলমহলের মা’ বলে আখ্যা দেন, যা নিয়ে সেই সময় রীতিমত সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। কিন্তু সবং উপনির্বাচন মিটতে না মিটতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের পদ থেকে তাঁকে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের তিন নম্বর ব্যাটালিয়নের অত্যন্ত কম গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডান্ট পদে বদলি করে দেয় রাজ্য সরকার। আর তিনি সেই নতুন দায়িত্ত্ব গ্রহণ না করে, রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থকে তিনি স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং সঙ্গে ৯০ দিনের ছুটিও চেয়ে নিয়েছেন। কলকাতার এক সংবাদপত্রের দাবি, ভারতী ঘোষের স্বেচ্ছাবসরের আবেদন গৃহীত হবে কি না, সেব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং, আপাতত তাঁর ছুটির আবেদন মঞ্জুর হচ্ছে এবং তাঁকে ছুটিতেই পাঠানো হচ্ছে।
ওই সংবাদপত্রের আরো দাবি, কিছুদিন ধরে তাঁর সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের সর্বময় কর্তাদের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে, তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আসতে শুরু করে। ভারতীদেবী পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের পুলিস সুপার থাকাকালীন বিভিন্ন সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হয়েছিল কি না, তাঁর পদত্যাগপত্র জমা পড়ার পরই তা নিয়ে আলাদা করে খোঁজখবর শুরু করেছে নবান্ন। ভবিষ্যতে যাতে তার ভিত্তিতে স্পেশাল অডিটে যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে পুলিস সুপার থাকাকালীন মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয় পুলিস ডিরেক্টরেট (পিডি) থেকে। কোনও অনুষ্ঠান বা মিছিলের জন্য গাড়ি ভাড়া, পুলিসকর্মীদের থাকা-খাওয়া, ছোটখাট বিভিন্ন জিনিস কেনার মতো বিষয়ে ওই টাকা নেওয়া হয়। খাতায়কলমে এক্ষেত্রে যা খরচ হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে, বাস্তবের সঙ্গে তার কতটা মিল রয়েছে, তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে চাইছেন প্রশাসনের কর্তারা। এই কারণেই যে সমস্ত জায়গা থেকে এই সমস্ত সামগ্রী নেওয়া হয়েছিল, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। প্রায় প্রতি মাসেই এই ধরনের খরচের জন্য টাকা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য হল, অন্য জেলার তুলনায় পশ্চিম মেদিনীপুরের বাজেট সবসময় বেশি থাকত। সেই কারণেই প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা দেখতে চাইছেন, এই বিপুল পরিমাণ বাজেটের কারণ কী ছিল। আর অন্য জেলার চাইতে এই জেলায় কেন এত বেশি জিনিসের প্রয়োজন হত। এমনকী সদ্য শেষ হওয়া সবং উপনির্বাচনেও এক কোটির বেশি টাকা নেওয়া হয় পুলিসের সদর দপ্তর থেকে। তার হিসেব এখন কর্তারা খতিয়ে দেখবেন। যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই সংবাদপত্রে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!