এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের অস্বস্তি বহুগুনে বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্টজনেরা

ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের অস্বস্তি বহুগুনে বাড়িয়ে দিলেন বিশিষ্টজনেরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২ রা মে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের নানা স্থান থেকে বারবার ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, বেছে বেছে তাদের কর্মীদের ওপর অত্যাচার, হেনস্থা, লুটপাট চালানো হচ্ছে। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হচ্ছে। বহু বিজেপি কর্মীকে হত্যা পর্যন্ত করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এ বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সরব হয়েছিলেন। একাধিক উপদ্রুত এলাকা নিজে পরিদর্শন করেছিলেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন। তবে, এবার এ বিষয়ে রাজ্যের অস্বস্তি তীব্রভাবে বাড়িয়ে দিলেন দেশের একাধিক বিশিষ্টজন।

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এনে এর সমাধান দাবি করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন দেশের ৬০০ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদ। যাদের মধ্যে রয়েছেন বহু অধ্যাপক ও উপাচার্য। বিশিষ্টজনেরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে লিখিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধের দাবি জানালেন। তাঁরা এ বিষয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট্ গঠন করার আর্জিও জানিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে বিশিষ্টজনেরা জানিয়েছেন যে, বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষেরা ভীত অবস্থায় বাস করছেন। বিধানসভা নির্বাচনে যারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন, তারা বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার ভয়ে হাজার হাজার মানুষ আসাম, উড়িষ্যা, ঝাড়খন্ড রাজ্যে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। সমস্ত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মত স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন তাঁরা।

সুপ্রিম কোর্টের কাছে স্বতপ্রণোদিত নোটিশ জারির আবেদনও জানিয়েছেন তাঁরা। সিট্ গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিশিষ্টরা অভিযোগ করেছেন যে, যে ধরনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে, তা একেবারেই সহ্য করা চলে না। এদিকে গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছেন যে, ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ৩৭ জন বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে মোট ১৬৬ জন বিজেপি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩০ হাজারেরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

তবে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিকবার দাবি করা হয়েছে যে, রাজ্যে কোন হিংসার পরিবেশ নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসন রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশিষ্টজনদের এই পদক্ষেপ রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল তীব্রভাবে। এবারে বিষয়ে শীর্ষ আদালত কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে? সেদিকেই দৃষ্টি থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!