প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ডিসেম্বর মাসে শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবার হয়ে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের চক্ষুশুল। এরপর সৌমেন্দু অধিকারী ও পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই অধিকারী পরিবারের প্রতি তৃণমূলের ক্রোধ সপ্তমে পৌঁছেছে। বারবার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষোভের মুখে পড়েছে অধিকারী পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিকবার নাম না করে অভিযোগ প্রকাশ করেছেন অধিকারী পরিবারের প্রতি। গতকাল নন্দীগ্রামে গিয়ে অধিকারী পরিবারকে একাধিক ইস্যুতে বিদ্ধ করেছেন তিনি। এরপর তার পাল্টা জবাব দিলেন শিশির অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কমিশনে যাবার হুশিয়ারী পর্যন্ত দিলেন তিনি।

গতকাল নন্দীগ্রাম থেকে কঠোর ভাষায় অধিকারী পরিবারকে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি নাম না নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যে, বাপ, বেটার অনুমতিতেই চটি পরে পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতীরা এসেছিল নন্দীগ্রামে। বাপ, বেটার অনুমতি না পেলে পুলিশ ঢুকতে পারত না। এতদিন তিনি মীরজাফরদের পুষেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ব্যাপক দুর্নীতি করেছে অধিকারী পরিবার। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জেঠার ছেলে টাকা বিলি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করার প্রয়োজন ছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাবা মন্ত্রী হয়েছিলেন বলে, ছেলে শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন, বলেছিলেন ভামকে মন্ত্রী করা হয়েছে।

অধিকারী পরিবারকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক আক্রমণের পর, তার পাল্টা জবাব দিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি জানান, নির্বাচনে জয়লাভের জন্য মিথ্যা বদনাম দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বলে তিনি কটাক্ষ করলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানালেন যে, হেরে যাবেন বুঝতে পেরেই ভুল বকছেন তিনি। তাঁর মাথা খারাপ হয়ে গেছে, তিনি পাগলের প্রলাপ বকছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, নন্দীগ্রামে যারা গুলি চালিয়ে ছিলেল, তাদেরকে বড় বড় পদ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রার্থী পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবেন তিনি।

বর্ষিয়ান সাংসদ শিশির অধিকারী জানান, নন্দীগ্রামে যদি যুদ্ধ না হতো, তাহলে কিছুই পেতেন না মুখ্যমন্ত্রী। তিনি তাঁর হাত ধরে, তাঁকে নন্দীগ্রামে নিয়ে এসেছিলেন। বাপ বেটার কি আছে,না আছে? তার কিছু জানেন না মুখমন্ত্রী। তিনি পা ভাঙ্গার নাটক করছেন। তিনি জানিয়েছেন, নন্দীগ্রামের মানুষ সমস্ত কিছু দেখেছেন, ভোটে তার জবাব দেবেন তাঁরা। তিনি জানালেন, তাঁদের বারবার গদ্দার, মীরজাফর বলা হয়ে থাকে। কিন্তু ৩৪ বছর ধরে তাঁরা লড়াই করে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কিছু বেইমান তৈরি করেছেন।

শিশির অধিকারী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী আর্তনাদ করলে তা প্রতিহত করতে পারেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন, তিনি যদি ভদ্রলোকের মেয়ে হন, তবে সামনা সামনি এসে তিনি মিটিং করুন, অন্য দলের কাছে আবেদন নিবেদন করছেন তিনি, ভোট চাওয়ার জন্য। মানুষকে ছোট করার জন্য অনেক কিছু তিনি বলেছেন। এরপর শিশির অধিকারী জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারীর হয়েই তিনি লড়াই করবেন।