এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধানসভা ভোটের আগেই দলের শুদ্ধিকরনে মরিয়া তৃণমূল! জল্পনা বাড়িয়ে পদ গেল ৩ হেভিওয়েট নেতার!

বিধানসভা ভোটের আগেই দলের শুদ্ধিকরনে মরিয়া তৃণমূল! জল্পনা বাড়িয়ে পদ গেল ৩ হেভিওয়েট নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর শুরু হয়েছে করোনা আবহের সময়কাল থেকে। সেই সময় থেকেই গেরুয়া শিবির রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে প্রবল বিরোধিতা শুরু করে। তারপরে শুরু হয় রাজ্যজুড়ে আমফান পরবর্তী ক্ষতিপূরণ নিয়ে চরম দুর্নীতি। সেই নিয়েও তীব্র আন্দোলন শুরু করে রাজ্যজুড়ে বিরোধীরা। এই অবস্থায় অবশ্য প্রাথমিকভাবে শাসক দল বিরোধীদের দুর্নীতি বিষয়ক অভিযোগ মানতে চায়নি বলে মত অনেকের।

কিন্তু পরবর্তীতে রাজ্যের সাধারণ জনগণ যখন শাসকদলের বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা প্রকাশ করে, তখন নড়েচড়ে বসে রাজ্য প্রশাসন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর তারপরেই দুর্নীতিকে কড়া হাতে দমন করতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় শাসকদলের শুদ্ধিকরণ নীতি। আর এই শুদ্ধিকরণে জোর দিতে এবার হাওড়া জেলার তিন হেভিওয়েট নেতাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হলো বলে জানা গেছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই কড়া বার্তা দিয়ে এসেছেন।

আর সেই অনুযায়ী দলের মধ্যেই বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন আগেই রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অরূপ রায় দুর্নীতির অভিযোগে পাঁচ নেতাকে শোকজ করেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন ডোমজুড়ের মাকড়দহ 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পাত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু এবং সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমফানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে তীব্র দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং জানা যাচ্ছে এই অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রমাণিত। আর তারপরেই দলের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, দুর্নীতির দায়ে সাসপেন্ড হয়েছেন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়ন্ত ঘোষ, পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম দাস এবং এবং উত্তর ঝাঁপরদহের পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল। এদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে এবং পদত্যাগ না করলে পরবর্তীতে যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জানা গেছে ত্রাণ বিলি নিয়ে স্বজনপোষণের অভিযোগে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে বড়গাছিয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা এবং জগৎবল্লভপুর 1 নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ নুর হোসেনকে। আপাতত শোকজের উত্তর পাওয়ার পরেই এই দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানা গেছে দলীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশি দেরি নে,।

আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল শিবির দলীয় দুর্নীতি দূর করতে শুদ্ধিকরণের ওপর যে বিশেষ জোর দেবে, সে কথা বলাইবাহুল্য। আপাতত দুর্নীতির বিরুদ্ধে যেভাবে শাসকদল একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তাতে আগামী দিনে এই শুদ্ধিকরণ ভোট বাক্সে কোন প্রভাব ফেলতে পারে কিনা সে দিকেই এখন লক্ষ্য রাখছে রাজনৈতিক মহল। তবে বিরোধীদের দাবি, ভোটের রাজনীতি করার জন্যই শাসক শিবিরের এই শুদ্ধিকরণের আয়োজন। দুর্নীতি দূর হবে কিনা তার কোন ঠিক নেই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!