প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত সময় যাচ্ছে, ততই বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে। নানা সময় নানা অংক বদলাতে দেখা যাচ্ছে এই বিহার বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নিতিশ কুমার এবং বিজেপির মধ্যে জোট করে যখন এনডিএ আবার বিহারের ক্ষমতা দখল করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই আরজেডি সভাপতি লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে বিহার রাজনীতিতে।

জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের জোট সরকারের শরিক হিসেবে রয়েছে আরজেডি। তাই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে হেমন্ত সোরেনের দল কি পদক্ষেপ নেয়, তা অবশ্যই দেখার বিষয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছে। এদিন হেমন্ত সোরেনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা আরজেডির সঙ্গে জোট করেই ভোটে লড়বেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 243 আসনবিশিষ্ট বিহার বিধানসভার নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিরোধী জোটের কাছে 10 থেকে 12 টি আসন চেয়েছিল হেমন্ত সোরেনের দল। যা নিয়ে তীব্র মতপার্থক্য তৈরি হয়। আর এরপরই নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি।

এমতাবস্থায় বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। যেখানে আরজেডির সঙ্গে একসাথে লড়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দিতে দেখা যায় তাকে। স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে এনডিএ জোট করে আবার ক্ষমতা দখল করতে উদগ্রীব, ঠিক তখনই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন যেভাবে লালুপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করে তার দলের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন এবং বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ব্যাপারে সবুজসংকেত দিলেন, তাতে নিঃসন্দেহে গুঞ্জন তৈরি হচ্ছে বিহার রাজনীতিতে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএর সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা পেরে ওঠে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।