এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিধায়ক থেকে পুরপ্রধান – তৃণমূলের সর্বস্তরে বিভাজন-গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বিধানসভার আগে উড়ছে ঘুম?

বিধায়ক থেকে পুরপ্রধান – তৃণমূলের সর্বস্তরে বিভাজন-গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব! বিধানসভার আগে উড়ছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী শাসক দলের বিভিন্ন নেতাকর্মী তথা সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। ঐক্যবদ্ধতার নির্দেশ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকের তরফ থেকেও বারবার করা হয়েছে। কিন্তু এত করেও দলের মধ্যে মতান্তর, অন্তর্দ্বন্দ্ব কোনভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। স্থানে স্থানে দেখা যাচ্ছে দলের বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে মনোমালিন্য, মতান্তরের ছবি। সম্প্রতি নদীয়া জেলায় অনুরূপ ছবি চোখে পড়লো।

গত সোমবার নদীয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সমাবেশ, পদযাত্রা আয়োজন করেছিল শাসকদল তৃণমূল। গত সোমবার সন্ধ্যর সময়ে নদীয়াজেলার শান্তিপুরের হরিদেবপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মনসাতলা এলাকায় শান্তিপুর
ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। সেদিনের এই বিক্ষভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নদীয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি দীপক বসু, শান্তিপুর পৌরসভার পুর প্রশাসক অজয় দে, জেলা পরিষদ সদস্য নিমাই বিশ্বাস, তৃণমূল দলের এসসি এসটি ওবিসি শাখার নেতা সৈকত দাস সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, আশ্চর্যজনক ভাবে এই সমাবেশে উপস্থিত হন নি শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য।

সেদিনের এই গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন, অথচ এই সমাবেশের নিকটেই হরিদেবপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হেমায়েতপুর মিদ্যেপাড়া মোড়ের কাছে আয়োজিত একটি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গেই সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলী সভাপতি রীনা প্রামাণিক।

মনসাতলা এলাকার সমাবেশে বিধায়ক এর এই অনুপস্থিত কারণে দলের মধ্যে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিধায়কের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে শান্তিপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন সরকার বলেছেন, ” সকলকে এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়েছিল। বিধায়ককেও জানিয়েছি। কেন এলেন না জানি না।” বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করাও হলেও, যোগাযোগ করা যায় নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, গত সোমবার নদীয়া জেলার বীরনগর শহরে শাসকদল তৃণমূল একটি বিশেষ পদযাত্রা আয়োজন করেছিল। এই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি স্বপন দাস, প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান ও সেইসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক পর্ষদের সদস্য গোবিন্দ পোদ্দার, সেই সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন প্রাক্তন কাউন্সিলর। তবে এই পদযাত্রায় অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় বীরনগর পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রধান ও সেইসঙ্গে পুরসভার প্রশাসক পর্ষদের চেয়ারপারসন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শহর তৃণমূল আয়োজিত আয়োজিত এই কর্মসূচিতে সম্পূর্ণ ভাবে তিনি অনুপস্থিত।

স্থানীয় সূত্রের খবর, শহর তৃণমূল সভাপতি স্বপন দাস, প্রাক্তন উপপুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দার এর শিবিরের সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের শিবিরের দীর্ঘদিন ধরেই খারাপ সম্পর্ক রয়েছে। যা অনেকসময়ই আড়াল করে রাখা সম্ভব হয়নি। প্রশাসক পর্ষদের চেয়ারপারসন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ” কর্মসূচিতে ডাক পাইনি, তাই যাইনি। তবে কর্মীরা গিয়েছিল।” তবে এ প্রসঙ্গে প্রাক্তন উপপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দারের বক্তব্য, “পার্থবাবুকেও ডাকা হয়েছিল এদিনের কর্মসূচিতে।”

এভাবে সমাবেশ ও পদযাত্রা থেকে শাসকদলের দুজন হেভিওয়েটের অনুপস্থিতি শাসক শিবিরে যথেষ্ট অস্বস্তি বাড়িয়েছে। নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে শাসক দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!