এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিদ্যাসাগরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বনাম বাবুল তরজা, এগিয়ে কে?

বিদ্যাসাগরকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বনাম বাবুল তরজা, এগিয়ে কে?

বাংলা ভাষা, বর্ণ পরিচয়, বাংলা বানান, শুদ্ধিকরণ সহ বাঙালি ও বাংলাকে রক্ষা করার বিভিন্ন প্রয়াস যে মনীষী গ্রহণ করেছিলেন, তিনি সকল বাঙ্গালীদের শ্রদ্ধেয় বিশ্ববরেণ্য ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বীরসিংহ গ্রামের ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর অগাধ পড়াশোনার মধ্যে দিয়ে বিপুল জ্ঞানের আরোহন করে হয়ে ওঠে বিদ্যাসাগর।

মানুষের প্রতি তার দয়ামায়া করুণা তাকে আরও একটা নাম দিয়ে দেয় দয়ারসাগর। আজ সেই মানুষটির দুইশত জন্মজয়ন্তী। তাই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে তথা ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে স্মৃতিচারণ করা হচ্ছে, এই মহাপুরুষের। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের রাজ্যের কিছু নেতা-নেত্রীদের মন্তব্যে কিছুটা ছন্দপতন করে দিয়েছে বিদ্যাসাগরের এই ব্যাখ্যার।

রাজ্যে কখনও আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে বলতে শোনা গেছে, “সতীদাহ প্রথার বিলুপ্তি ঘটান ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।” কখনও বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মাইল আবিষ্কার করেছিলেন।” কিন্তু সত্যিই কি তাই! বিদ্যাসাগরের সারা জীবন এত অবাক কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে, যে তার সম্পর্কে সঠিক তথ্যটুকু থাকলেই তাকে নিয়ে বলার শেষ পাওয়া যায় না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে কেন বিদ্যাসাগরকে নিয়ে স্মৃতিমন্থন করতে গেলে আমাদেরকে প্রহেলিকার শরণাপন্ন হতে হয়, উঠছে প্রশ্ন বাংলার বুদ্ধিজীবী মহল থেকে শুরু করে সাহিত্যিক মহলের মনের মধ্যে। যে বিদ্যাসাগর দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করে রাস্তার গ্যাস আলোর স্তম্ভের নিচে দাঁড়িয়ে রাত্রিকালীন পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন, যে বিদ্যাসাগর টিকিতে দড়ি বেঁধে দেওয়ালের সঙ্গে লাগিয়ে পড়াশোনা করেছেন, যাতে ঘুমের আমেজ আসলে টিকিতে টান পড়ে, আর অযাচিত নিদ্রাভঙ্গ হয়, এমনই পরিশ্রম করে নিজের অধ্যাবসায়কে রক্ষা করেছেন আমাদের বিদ্যাসাগর।আর এই নিয়েই জোর চর্চা শুরু সোশ্যাল মিডিয়ায়। পোস্টার পর পোস্ট শেয়ার হচ্ছে।

কখনও বা মায়ের টানে ভরা নদী সাঁতরে পার হয়ে গেছেন নিজের গ্রামে। প্রমাণ করেছেন, তার সন্তান কর্তব্যের পূর্ণতাকে। বাল্য বিধবাদের কষ্ট বারবার ভাবিত করে তুলেছে এই মহাপুরুষকে। তাই বিধবা বিবাহ আইন চালু করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন এই মহাপুরুষ। জীবনের শেষ দিকে ঝাড়খণ্ডের কার্মাটাড় এলাকায় আদিবাসীদের সঙ্গে তাদের হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হয়ে প্রমাণ করেছেন নিজের দয়ারসাগর সত্তাকে।

নিভৃতে শেষ জীবন কাটাতে ঝাড়খণ্ডের এই অখ্যাত গ্রামে দীর্ঘদিন ছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয়। বর্তমানে এই গ্রামের নাম হয়েছে বিদ্যাসাগর। স্থানীয় রেল স্টেশনটির নাম বিদ্যাসাগর স্টেশন হয়েছে। তাই এখানেও বৈচিত্র্যময় জীবনযাত্রার অধিকারী যিনি বাংলাকে বর্ণের পরিচয় দিয়েছেন, তার ব্যক্তিত্বকে প্রস্ফুটিত করার জন্য কি কাল্পনিক মন্তব্যের প্রয়োজন রয়েছে! তাই নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গবেষকদের অন্তরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!