প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই একের পর এক সভা থেকে প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেই চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিনিয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। যা বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই পরিস্থিতিতে যখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে এতদিন শাসক দলের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠত, তখন সেই অভিযোগ উঠল শুভেন্দু অধিকারীর সভাকে কেন্দ্র করে।

জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছটার সময় হুগলির রিশড়া গার্লস হাই স্কুলের মাঠে বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত থাকার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু সেই সভা নিয়েই এখন বিজেপি এবং পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে তৈরি হয়েছে দড়ি টানাটানি। বলা বাহুল্য, এর আগে বারবার বিরোধীদের তরফ থেকে তাদের সভায় বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। আর সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে এবার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আপত্তি তৈরি হওয়াকে কেন্দ্র করে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

জানা গেছে, বুধবার রাতে বিজেপির পক্ষ থেকেই সভা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানে পুলিশ পৌঁছে তাদের কাছ থেকে অনুমতি পত্র চাইতে শুরু করে। কিন্তু বিজেপির কেউ সেই অনুমতি দেখাতে পারেনি। এরপর পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা তৈরি হয়। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীর মত হাইপ্রোফাইল নেতার সভাকে কেন্দ্র করে এই রকম ঘটনা ঘটায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয়ে তৃনমূল এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃনমূল কোনোমতেই চাইছে না, শুভেন্দু অধিকারী সভা করুন। তাই পুলিশকে অনুমতি দিতে বারন করা হয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসকদলের বক্তব্য, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় সভা করেছেন। কিন্তু কোথাও কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। কিন্তু এখন রিষড়াতে পুলিশ কেন বাধা দিচ্ছে, তা প্রশাসনের বিষয়। এর সঙ্গে তৃনমূলের কোনো ব্যাপার নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যত সময় যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় সভা সমিতিকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারীর সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে বাধাদান ও আপত্তির ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, পুলিশ শেষ পর্যন্ত এই সভার অনুমতি দেয় কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।