এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > জেলে থেকেও শুভেন্দু-গড়ে সব অঙ্ক ঘুলিয়ে দেবেন মুকুল ঘনিষ্ঠ? জল্পনা চরমে

জেলে থেকেও শুভেন্দু-গড়ে সব অঙ্ক ঘুলিয়ে দেবেন মুকুল ঘনিষ্ঠ? জল্পনা চরমে


প্রাক পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বে নানা অপ্রীতিকর ঘটনার সাক্ষী পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক বিচ্ছিন্ন ভাবে সন্ত্রাস কবলিত। এখানে ঘটা নানা নজিরবিহীন ঘটনার অভিযোগের মধ্যে অন্যতম পূর্ব পাঁশকুড়ার সিপিএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলিকে ব্লক অফিসের মধ্যে শারীরিক নিগ্রহ। এছাড়াও দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করতে যাওয়ার সময়ে হেন্সতার শিকার হয়েছেন প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দাশঠাকুর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান, বর্তমানে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে নিজের বিএড কলেজ এলাকাতেই এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় বলে। বিরোধীদের ওপর এইসব আক্রমনের ঘটনায় সন্দেহ এবং অভিযোগ সবই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তবে এই জেলায় বিগত নির্বাচন গুলির তুলনায় পাঁশকুড়া অঞ্চলই এই নির্বাচনে সব থেকে বেশি উত্তপ্ত। প্রসঙ্গত রাজ্যে বাম শাসনকালে সিপিএম দলের একটি অন্যতম শক্তিশালী নির্বাচন কেন্দ্র ছিলো এই পাঁশকুড়া। রাজ্যের শাসক দল পরিবর্তনের সাথে সাথে গত পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এই কেন্দ্রে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ঐ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎকালীন যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি আনিসুর এবং বর্তমান পুরপ্রধান নন্দকুমার মিশ্রের মধ্যে ঘোরতর বিবাদ বাঁধে। এই সময়ে দলের নির্দেশ অমান্য করে আনিসুর পুরপ্রধান হয়ে যান। কিন্তু অচিরেই তৃণমূল কংগ্রেস দল তাঁকে সাসপেন্ড করলে তাঁর পুর প্রধান পদ খারিজ হয়ে যায়। এই ঘটনার অল্প দিন পরেই তিনি দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। সেখানেও তাঁর রাজনৈতিক জীবন স্বস্তির হয়নি। একাধিক মামলায় অভিযুক্ত সন্দেহে এই মুহূর্তেও তিনি জেলবন্দি। তৃণমূল কংগ্রেস দলের এক গোপণ সূত্র মারফত জানা গেছে আনিসুর ‘ঘনিষ্ঠ’ অনেকেই দলে রয়ে গিয়েছেন। তাঁরা এই মুহূর্তে নিষ্ক্রিয়। কিন্তু নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তাঁদের ভূমিকা কী হবে সেই বিষয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের যে সব নেতা-কর্মী প্রতীক না পেয়ে নির্দল হিসাবে লড়ছেন, তাঁরা বিজেপির যোগাযোগ করছেন। এই প্রসঙ্গে বিজেপির তমলুক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নবারুণ নায়েক প্রকাশ্যে দাবি করে বললেন ,”কয়েকটি আসনে নির্দল প্রার্থীরা আমাদের সমর্থন চেয়েছেন।” যদিও পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গিয়েছে ব্লকের ২০৮টির মধ্যে ৯৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, ৪০টির মধ্যে ১৮টি পঞ্চায়েত সমিতির আসন এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসনের মধ্যে একটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসের সম্ভবনা সম্পর্কে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির বললেন, ”পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে মনোনয়নে বাধা দিয়েছে তৃণমূল। ভোটগ্রহণের সময় তৃণমূলের সন্ত্রাস বাড়বে বলেই আশঙ্কা।” যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধান নন্দকুমারবাবু বললেন, ”বড় কোনও অশান্তি হয়নি। ভোটগ্রহণও শান্তিতেই হবে।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!