এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনার জেরে বন্ধ পড়াশোনা, পাশফেল নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত

করোনার জেরে বন্ধ পড়াশোনা, পাশফেল নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের, জানুন বিস্তারিত

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় আতঙ্ক করোনা ভাইরাস। সারাবিশ্বে প্রায় 200 রও বেশি দেশে করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতও করোনা ভাইরাস এর কালো তালিকায় উঠে এসেছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গও করোনা প্রভাবিত রাজ্য বলে চিহ্নিত হয়েছে। করোনা শুরুর প্রাথমিক অবস্থাতেই রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি, মাদ্রাসা ইত্যাদি বন্ধের নির্দেশিকা জারি করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি এই নির্দেশিকার ফলে মাঝপথেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা থমকে যায়। প্রথমভাগে মুখ্যমন্ত্রী 15 ই এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল – কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে এই সময় বেড়ে আগামী 10 ই জুন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বুধবার নবান্ন থেকে জানিয়েছেন, জুন মাসে লকডাউন উঠে যাবার পরেই উচ্চমাধ্যমিকের বাকি তিনটি পরীক্ষা হবে। তার সঙ্গে তিনি এও ঘোষণা করেছেন, একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা এবার আর হবেনা। সরাসরি একাদশ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের।

জুনের 10 তারিখের পর সমস্ত স্কুল কলেজ খুলবে বলে জানানো হয়েছে আগেই। সেই সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী এবার জানিয়ে দিলেন, উচ্চ মাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষার সময়সূচী। মনে করা হচ্ছে, জুন মাসের স্কুল খোলার পরেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। অন্যদিকে, স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ইঞ্জিনিয়ারিং-সহ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা ফাইনাল সেমিস্টার বাদ দিয়ে বাকি সেমিস্টারগুলো একধাপ করে এগিয়ে যাবেন। অর্থাৎ একটা সেমিস্টার তাঁদের পরীক্ষা দিতে হবেনা বলে জানা গেছে।

আগামী 15 ই মে পর্যন্ত আইসিডিএস বন্ধ থাকবে বলে খবর। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু ছাড় আরো দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে চলেছেন। যেরকম, চা তোলার কাজে আগেই 25% শ্রমিক কাজ করছিল, এবার টি প্রসেসিং এর ক্ষেত্রেও 25% শ্রমিককে কাজের অনুমতি দেওয়া হল বলে জানা গেছে। এমনকি সরকারি সূত্রে এও জানা গেছে, রাস্তা এবং বিল্ডিং কন্সট্রাকশনের কাজে যেসব শ্রমিকরা জড়িত, তারাও কাজ করতে পারবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

100 দিনের শ্রমিকদেরও কাজ দেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, চটকলগুলিতেও 15 শতাংশ শ্রমিক লকডাউনের মধ্যেও কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে জানা গেছে, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এর অন্তর্গত নার্সারির কাজ বা পুকুর পরিষ্কারের কাজসহ অন্যান্য কাজে দিনমজুররা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে কঠোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে মাস্ক পরার ওপর এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর।

এদিকে পশ্চিমবাংলার করোনা পরিস্থিতির দিকে তাকালে জানা যাচ্ছে, নতুন করে বাংলায় আরো 17 জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। এখনো পর্যন্ত যা খবর, এ রাজ্যে করোনা পজেটিভ 132, অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়েনি বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্য সচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে 7 জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও পাঁচজন অর্থাৎ বাংলায় এখন করোনা মুক্ত 47 জন। আরও জানানো হয়েছে, টেস্টিং করা হয়েছে 3770 জনকে।

যাঁদের মধ্যে বর্তমানে সরকারি কোয়ারান্টিনে রয়েছেন 4157 জন। ইতিমধ্যেই 7729 জনকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে খবর, হোম কোয়েরেন্টাইনে এতদিন পর্যন্ত 56 হাজারেরও বেশি মানুষ ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে, যাঁদের মধ্যে 19 হাজার মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে খবর। যদিও সরকারি পরিসংখ্যান ঘিরে দানা বেঁধেছে তীব্র বিতর্ক। অন্যদিকে, সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। উল্লেখ্য, ভারতের মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতি রীতিমতো উদ্বেগজনক। এই অবস্থায় সম্প্রতি সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করে মহারাষ্ট্রের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলে মুখ্যমন্ত্রীর এই ফোন ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সুচারুভাবে মহারাষ্ট্রের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়ে পরবর্তী সময়ের জন্য রাজনৈতিক জমি শক্ত করতে চাইছেন। তবে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি বিতর্ক দানা বেঁধেছে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিসংখ্যান ঘিরেই। কেন্দ্র ও রাজ্যের তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে করোনার পরিসংখ্যান ঘিরে। বিরোধীরা রাজ্য সরকারের ওপর একটার পর একটা অভিযোগ এনে চলেছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!