বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসতেই মুখ পুড়ল তৃণমূলের, বড় অস্ত্র পেয়ে গেল বিরোধীরা! তৃণমূল পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজনীতি রাজ্য May 30, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার লড়াইটা খুব একটা সহজ ছিল না তৃণমূলের কাছে। তবুও বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে ঘাসফুল শিবির। আর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই দলীয় সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী জুন মাসের 5 তারিখে এই ব্যাপারে দলের নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছেন তিনি। আর সেই বৈঠক থেকেই বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলে খবর। তবে 2011 সালে তৃণমূল রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দলীয় নেতাদের সবথেকে বেশি যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, তা হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বিভিন্ন নির্বাচনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে অনেক আসনে তৃণমূলকে পরাজিত হতে হয়েছে। যার ফায়দা তুলে নিয়েছে বিরোধীরা। আর তৃতীয়বার বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেও, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাঁটা অস্বস্তি হয়ে দাঁড়াল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। আর এবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত বেলিয়ারি গ্রাম। যেখানে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষমতায় আসতে না আসতেই দলের এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রকাশ্যে আসায় রীতিমত অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে খুন হয়ে যাওয়া একটি অশান্তিকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ তৈরি হয়। যেখানে গত বছরের আগস্ট মাসে এই বেলিয়ারি গ্রামে তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান শেখ বাবর আলি খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যেখানে মূল অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের বর্তমান প্রধানের স্বামী এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর সেই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই শনিবার রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। যেখানে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে বর্তমান প্রধানের অনুগামীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে বেশকিছু বোমার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায়। যার জেরে আতঙ্কে পড়ে যান সাধারন মানুষ। তৃণমূলের একাংশ দাবি করছেন, প্রধানের লোকজন বিজেপির সঙ্গে জড়িত। ভোটে পরাজিত হয়েছে জেনে এখন তৃণমূলের ভেতরে থেকে তারা তৃণমূলকে মারধর করার চেষ্টা করছে। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সবেমাত্র ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তারপরেই বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড় কস্বস্তির কারণ ঘাসফুল শিবিরের কাছে। এই গোটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে বিরোধীরা যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি তৃণমূল যতই ক্ষমতায় আসুক না কেন, নিজেদের দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে যে তারা এখনও পর্যন্ত ব্যর্থ, তা শাসকদলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের মধ্য দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -