এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সুস্থ হয়ে ওঠা অনুরতর ফের অস্বস্তির, সৌজন্যে বিরোধীরা! চাঞ্চল্য বীরভূমে!

সুস্থ হয়ে ওঠা অনুরতর ফের অস্বস্তির, সৌজন্যে বিরোধীরা! চাঞ্চল্য বীরভূমে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের সবথেকে বেশি যে জায়গাগুলো নিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বিরোধীরা, তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বীরভূম জেলা। ভোটের আগে সবথেকে বেশি এই জেলা নিয়ে অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগের শেষ নেই। তার নানা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মাঝেমধ্যেই প্রশ্ন ওঠে।

ইতিমধ্যেই তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় হামলা শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর এবার সেই অভিযোগে বীরভূম জেলায় কার্যত শোরগোল তুলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে এই জেলাতে এখনও পর্যন্ত 700 জন বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের।

স্বাভাবিক ভাবেই কিছুদিন আগেই শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল‌। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে বিজেপির পক্ষ থেকে ঘরছাড়া কর্মীদের নিয়ে যে কথা তুলে ধরা হল, তাতে অনুব্রতবাবু এবং তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রায় প্রতিটি জেলাতেই তাদের অনেক নেতা-কর্মী বর্তমানে ঘরছাড়া রয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে বীরভূম জেলায় সংখ্যাটা অনেকটাই বেশি বলে দাবি ভারতীয় জনতা পার্টির। বিজেপির দাবি, এই বীরভূম জেলাতে প্রায় 700 জন বিজেপি কর্মীর পরিবার ঘরছাড়া রয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে তাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।

তাই ফল প্রকাশের পর থেকেই বাড়িতে থাকতে পারছেন না বিজেপি নেতা কর্মীরা। এমনকি পুলিশ প্রশাসনকে বলেও এই ব্যাপারে লাভের লাভ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। অর্থাৎ এই গোটা ঘটনায় যে তৃণমূলের দিকেই অভিযোগ তুলছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তা বলাই যায়। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল বলেন, “আমরা এর আগেও একটা তালিকা জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে জমা দিয়েছিলাম। তারপরেও বহু কর্মী-সমর্থক এখন বাড়ির বাইরে রয়েছেন। আমরা আরও একটি তালিকা দেব। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে নিজেরাই পথে নামব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন, কেন বিজেপির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন? যদিও বা বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার জানিয়ে দিয়েছেন, যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সমস্ত নেতা-কর্মীদের ঘরে ফেরানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ভোটের আগে এবং পরে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে এই বীরভূম জেলা। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের দাপট থাকা এই জেলাতে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সবথেকে বেশি সরব হতে দেখা গেছে বিরোধীদের।

আর নির্বাচনের পরেও গোটা রাজ্যের পাশাপাশি এই জেলা খবরের শিরোনামে উঠে এল। যেখানে প্রায় সাতশোর বেশি বিজেপি নেতা কর্মী ঘরছাড়া রয়েছেন বলে অভিযোগ করতে শুরু করল গেরুয়া শিবির। ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন, ফলাফল পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র রক্ষা করাই প্রধান কাজ পুলিশ প্রশাসনের। সেক্ষেত্রে যে দলই সরকার গঠন করুক, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের দলীয় কর্মসূচি করতে যাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সেদিক থেকে তৃণমূল সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই যেভাবে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে, তাতে বীরভূম জেলাতেও বিজেপির ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করায় কার্যত চাপে পড়ে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল এবং বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!