এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > বিভিন্ন রাজ্যে একই ইস্যুতে ভিন্ন মত বিজেপির- ভোটের অংকই সর্বাগ্রে কাজ করছে, বিতর্ক তুঙ্গে

বিভিন্ন রাজ্যে একই ইস্যুতে ভিন্ন মত বিজেপির- ভোটের অংকই সর্বাগ্রে কাজ করছে, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুধু এরাজ্যে নয়, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আগামীদিনে বিধানসভার ভোট আসতে চলেছে। আর তাই রাজ্য বিশেষে কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপি নিজেদের বক্তব্য পাল্টে ফেলেছে। আর সেরকমই দেখা যাচ্ছে তাঁদের নির্বাচনী ইস্তেহারে বলে দাবি সংবাদমাধ্যমের। এক্ষেত্রে রাজ্য দখল মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। 

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভোট জেতার জন্য নির্ভর করছে মতুয়া ভোটব্যাংকের ওপর। তাই মতুয়াদের কাছে টানতে বড়োসড়ো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। সেরকমই দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে আবার পুরো উল্টো সুর বিজেপির জোট শরিক এআইএডিএমকের।

যথারীতি একই বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন মত দিতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বাংলার পরে ভোট আসতে চলেছে তামিলনাড়ু এবং কেরলে। 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাড়ুতে একটিও আসন পায়নি বিজেপি। এবার তারা কুড়িটি আসনে লড়ছে বলে জানা গিয়েছে। 

আর তাই যতটা সম্ভব ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দখলে রাখা বিজেপির কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই কথাকে মাথায় রেখেই তামিলনাড়ুতে বিজেপি নিজেদের ইস্তেহারে গোহত্যা রোখা নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আবার বাম শাসিত কেরলে নিজেদের ইস্তেহারে গোহত্যা নিয়ে একটি বাক্যও উচ্চারণ করেনি গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরকম অমিল কেন বিজেপির দুই রাজ্যের ইস্তেহারে? এক্ষেত্রে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। একটি সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, কেরলে 80 লাখের বেশি মানুষ গোমাংস খান। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে 40 লাখের মতো মানুষ গোমাংস খেয়ে থাকেন। সুতরাং যেখানে গোমাংসের চাহিদা বেশি, সেখানে বিজেপি গোমাংস রোখা নিয়ে বিন্দুমাত্র মুখ খোলেনি।

 খাদ্যাভ্যাসের দিক থেকে দুটি রাজ্যের কাছে ভোটের ইস্যুও তাই আলাদা করে নিয়েছে গেরুয়া শিবির। একই রকম দেখা গেছে বাংলা এবং আসামের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি এ রাজ্যে মতুয়াদের সামনে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শেষ হলে সিএএ চালু হবে।

আবার তামিলনাড়ুতে বিজেপির শরিক এআইএডিএমকে জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা ক্ষমতায় এলে সিএএ কোনমতেই লাগু হতে দেবেনা রাজ্যে। আবার ঠিক উল্টো কথা আসামের বুকে। আসামে জেপি নাড্ডা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, সিএএ লাগু হবে এবং কারেক্টেড এনআরসি হবে। কারণ আসামের বুকে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখেছে গোটা দেশ, তাই আসামে সাবধানী পদক্ষেপ।

 তবে সব মিলিয়ে একই ইস্যুতে ভিন্ন কথা, ভিন্নমত গেরুয়া শিবিরকে কিন্তু ইতিমধ্যেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, নিজেদের সুবিধামতো বিজেপি তাঁদের ইস্যুগুলি বদল করে নেন। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। বিরোধীরা গেরুয়া শিবিরকে সুবিধাবাদী দল বলে আখ্যা দিয়েছে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!