বিভিন্ন সূত্র ধরে সনাতন রায়চৌধুরীর রহস্য আরও ঘনীভূত, তথ্য পেতে এবার বিজেপির দ্বারস্থ পুলিশ কলকাতা বিজেপি রাজ্য July 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে একের পর এক প্রতারকের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিন আগেই ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে দেবাঞ্জন দেবের ঘটনা সামনে আসার পরে রাজ্যজুড়ে প্রতারকদের ধরার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে রাজ্য পুলিশ। আর এই সূত্রেই ধরা পড়েছেন সনাতন রায়চৌধুরী। কার্যত এই সনাতনের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক থাকার একাধিক প্রমাণ সামনে আসছে। ইতিমধ্যেই তার কাছ থেকে বিজেপির সম্পর্কিত একটি প্রাথমিক সদস্যপদ পাওয়া গিয়েছে। অন্যদিকে সনাতন রায়চৌধুরী দাবি করেছেন, তিনি ভারত সরকারের হয়ে ব্রিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। প্রতারক সনাতনের একটির পর একটি দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বে থেকে যাচ্ছে পুলিশ। এই অবস্থায় সমস্ত তথ্য পেতে এবার বিজেপির দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য পুলিশ বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক এজেন্সির সঙ্গে সনাতন রায়চৌধুরীর যোগাযোগ ছিল। তাই এবার সনাতন রায়চৌধুরীর ব্যাক্তিগত ইমেইল খতিয়ে দেখতে চলেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের জেরায় সনাতন রায় চৌধুরী জানিয়েছেন, তিনি 2013 সালে ইন্দো জাপান কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পাশাপাশি 2018 সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিনিধি হয়ে যোগদান করেছিলেন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইসাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিলের সদস্য বলে যেমন পরিচয় দিয়েছেন একসময় সনাতন রায়চৌধুরী, আবার তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছেন, 2009 এর লোকসভা ভোটেও তিনি লড়েছিলেন। আবার নিজেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিবিআই স্পেশাল কাউন্সিলের পদাধিকারী বলেও পরিচয় দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সনাতন রায়চৌধুরী আদপে কি করতেন তা নিয়ে একের পর এক জল্পনা তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশে গড়িয়াহাট থানার অন্তর্গত জমি এবং একটি ভবনের জন্য অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সিবিআইয়ের সূত্রে অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সনাতন রায়চৌধুরী নামে তাঁদের কোনো কৌঁশলি কোনসময় ছিলনা। ভুয়া পরিচয় দিয়েই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল সনাতন। অন্যদিকে সনাতন রায়চৌধুরীর কান্ড-কারখানা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, তিনি রাজনীতিতে যেমন স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন, ঠিক সেরকমই প্রশাসনের অন্দরেও অবাধ বিচরণ হয়েছে তাঁর। সেক্ষেত্রে সনাতন রায়চৌধুরীর প্রতারণার জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তাই নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা। অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকেও সনাতন রায়চৌধুরীকে উপর্যুপরি জেরা করা হচ্ছে। আর সেখানেই উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কার্যত প্রতারণার এই নিত্যনতুন উপায় দেখে হতবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরাও। আপাতত সনাতন রহস্যের সমাধান করতে কি পদক্ষেপ নেয় তদন্তকারীরা সেদিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -