এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নেতৃত্ত্ব নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে, খোদ সভাপতির তৃণমূল-যোগ নিয়ে উঠল প্রশ্ন

নেতৃত্ত্ব নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে বিজেপির অন্দরে, খোদ সভাপতির তৃণমূল-যোগ নিয়ে উঠল প্রশ্ন


সোমবার  কোচবিহার জেলা সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের পরিদর্শক পুষ্পেন সরকারকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে গেরুয়া শিবির  সাময়িক সময়ের জন্যে বরখাস্ত করলো। এই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আনোয়ার হোসেন বিজেপির জেলা সভাপতির যোগ্যতার প্রসঙ্গে সংশয় প্রকাশ করলেন। মঙ্গলবার কোচবিহার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে তিনি  দলের জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে’র বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করলেন।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

প্রসঙ্গত আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে দলের অভিযোগ তিনি জেলা পরিষদের ২৭ নম্বর আসনের প্রার্থী মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু আকষ্মিক ভাবেই দলীয় নেতৃত্বের কাউকে এই বিষয়ে অবগত না করেই তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেন। এদিকে আনোয়ার হোসেনের মতে গত ২৮ শে এপ্রিল তাঁকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ার করা হয় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে তাঁর ছেলের বিপদের আশঙ্কা । অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এই বিষয় সম্পর্কে  বিজেপি জেলা সভাপতি নিখিলরঞ্জন দে-কে অবহিত করেন। এবং তারপরেই তিনি নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এদিন সাংবাদিকদের সামনে দলের জেলা সভাপতির যোগ্যাত নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে দলের সাময়িক সময়ের জন্যে বরখাস্ত হওয়া সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি আনোয়ার হোসেন বললেন , ” নিখিলবাবুর জায়গায় জেলার দায়িত্ব অন্য কারও হাতে থাকলে পঞ্চায়েত ভোটে কোচবিহারে বিজেপি আরও বেশি আসনে জিততে পারত।” তাঁকে দল পরিবর্তনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাবে বললেন , ‘এই মুহুর্তে যদি কেউ বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেন তবে তিনি নিখিল রঞ্জন দে হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ রয়েছে।” আনোয়ার সাহেবের মতে দলের জেলা সভাপতি নিজের অপদার্থতা লুকোতে গিয়েই তাঁকে দল থেকে  সাময়িক সময়ের জন্যে বরখাস্ত করেছেন। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি নিখিল রঞ্জন দে বললেন, “রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশেই আনোয়ার হোসেনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলব না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!