এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপি কাউন্সিলরকে হেনস্তা, চরম মাশুল দিতে হবে তৃনমূলকে! ইঙ্গিত স্পষ্ট!

বিজেপি কাউন্সিলরকে হেনস্তা, চরম মাশুল দিতে হবে তৃনমূলকে! ইঙ্গিত স্পষ্ট!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে সব রকম চেষ্টায় নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল বলে অভিযোগ। যেখানে কলকাতা পৌরসভায় বিজেপি কাউন্সিলরকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে। কার্যত এক বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে কলকাতা পৌরসভার অধিবেশন কক্ষ। তবে তৃণমূল যদি ভেবে নেয় একতরফা আক্রমণ করেই খেলা শেষ হয়ে যাবে, তাহলে তারা ভুল ভাবছে। আগামী দিন তাদের জন্য যে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি আসছে, সেই ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। নিউটনের গতিসূত্র উল্লেখ করে প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে বলে স্পষ্ট করলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, এদিন কলকাতা পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়। আর সেই ব্যাপারেই প্রশ্ন করা হয় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল কখনও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই কারণেই আজকে কলকাতা পৌরসভায় আমাদের কাউন্সিলরকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। তবে এটাও মনে রাখা উচিত, প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে। মানুষ তৃণমূলকে আগামী দিনে সেই জবাব দিয়ে দেবে।” আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি সুকান্তবাবু বদলার রাজনীতির কথা উল্লেখ করলেন! বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, আজকে তৃণমূল যে ঘটনা ঘটাচ্ছে, আগামী দিনে তৃণমূলের ক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটবে?

একাংশের মতে, সুকান্ত মজুমদার কি বোঝাতে চেয়েছেন, তা একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন। তবে তৃণমূল যদি একতরফা আক্রমণের পথ বেছে নেয়, তাহলে সেসব দিন তাদের ভুলে যেতে হবে। এখন রাজ্যে সেটিং করা বিরোধী দল নেই। যারা রয়েছে, তারা চোখে চোখ রেখে কথা বলার মত ক্ষমতায় রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনুগত্য অনুযায়ী বিরোধী দলের পদক্ষেপ হবে, সেটা যদি ভাবতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস, তাহলে তারা ভুল করছে। তাই বিজেপির রাজ্য সভাপতি কলকাতা পৌরসভায় কাউন্সিলরদের হাতাহাতি নিয়ে রীতিমতো তৃণমূলকে সতর্ক করে দেওয়ারই চেষ্টা করেছেন। ঘটনার গতি প্রকৃতি দেখে তেমনটাই অনুধাবন করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল যে প্রতিহিংসার রাজনীতি রাজ্য জুড়ে শুরু করেছে, তাতে বদলা না করলেও ফোঁস করে উঠতে হবে। কারণ তা না হলে এই প্রতিহিংসার রাজনীতি আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলার যেটুকু গণতন্ত্র অক্ষুন্ন রয়েছে, সেখানেও আঘাত করবে শাসক শিবির। তাই বিরোধীরা যদি প্রতিবাদের রাস্তা বেছে না নেয়, যদি প্রতিরোধ না করে, তাহলে আগামী দিনে কথা বলার শেষ রাস্তাটুকুও বন্ধ হয়ে যাবে। সেদিক থেকে সুকান্ত মজুমদারের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলীয় কর্মীদের সাহস অবলম্বন করার বার্তা দিয়ে নিউটনের গতিসূত্রের কথা উল্লেখ করলেন তিনি। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!