এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে দেখে অনুপ্রাণিত সুকান্ত! লাইনে আসছেন রাজ্য সভাপতি, উজ্জীবিত কর্মীরা!

শুভেন্দুকে দেখে অনুপ্রাণিত সুকান্ত! লাইনে আসছেন রাজ্য সভাপতি, উজ্জীবিত কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-রাজনীতিতে এক এক নেতার স্টাইল এক এক রকম। তবে বিরোধী রাজনীতি করতে গেলে একটু চোখে চোখ রেখে দাপটের সঙ্গেই লড়াই করতে হয়। যেটা করে যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিপক্ষ দল হয়েও, বিজেপির রাজ্য সভাপতির ধির স্থির মনোভাব দলের মধ্যেই বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হোক। আর এই পরিস্থিতিতে এবার কি শুভেন্দু অধিকারীকেই ফলো করতে শুরু করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার! যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী শাসক দলকে টাইট দেন, এবার নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কি সেই লাইনেই হাঁটার চেষ্টা করলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ! ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির তৃণমূলের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি মূলক একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। তবে এই মন্তব্যে বিজেপি কর্মীরা যথেষ্ট উজ্জীবিত।

প্রসঙ্গত, এদিন তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যেখানে তিনি বলেন, “চুরি করছেন করুন, দুর্নীতি করছেন করুন, তবে সুস্থ ভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করুন। আপনাদের দুর্নীতির হিসাব আমরা যখন ক্ষমতায় আসব, তখন বুঝে নেব। কিন্তু আমাদের কর্মীদের মারলে, গুন্ডামি করতে এলে বিজেপিও কিন্তু গুন্ডামি করতে জানে। 100 ফুট মাটির নীচে কিভাবে পুতে দিতে হয় সেটা আমরা জানি।” অনেকে বলতে পারেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি তো শাসক দলকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। এটাকে কি করে সমর্থন করা যায়? নিঃসন্দেহে এটা সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু তার দলের কর্মীরা মার খাবে, আর তিনি চুপচাপ ভিজে বিড়ালের মতো বক্তব্য রাখবেন, এটা অন্তত আর যাই হোক কর্মীরা ভালো চোখে নেন না। তাই নিজের দলের কর্মীদের উজ্জীবিত করতে বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই হুশিয়ারি মূলক মন্তব্য গেরুয়া শিবিরের নিচুতলার কর্মীদের মনে কিছুটা হলেও শক্তি যোগাবে। অন্তত তেমনটাই দাবি পদ্ম শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সভাপতি হওয়ার পর রাজ্যে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবকটাতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সদ্য সমাপ্ত ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচন, সেখানেও নিজেদের জেতা আসন ধরে রাখতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ফলে বারবার রাজ্য সভাপতির ভূমিকা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে। আর এই পরিস্থিতিতে সুকান্ত মজুমদার এবার একটু অন্য স্টাইল নিয়ে ফেললেন। শাসকের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন,, চোখে চোখ রেখে কথা বলার রাজনীতি তিনিও করতে পারেন। অর্থাৎ দলের মধ্যে যারা সুকান্ত মজুমদারকে “একটু শক্তিশালী হতে হবে” বলে দাবি করছিলেন, তারাও এদিনের বক্তব্য শুনে যথেষ্ট উজ্জীবিত।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন সময়ে এমন কিছু বক্তব্য রাখেন, যা শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন বাংলার সাধারণ মানুষ। এমনকি তৃণমূলের কর্মীরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কতটা কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা, তা দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন। তার বক্তব্যে মুহুর্মুহু হুবহু হাততালি পড়ে। কিভাবে তৃণমূলকে টাইট দিতে হয়, তার প্রতিটি ফর্মুলা বেশ ভালো করেই পালন করে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই শুভেন্দুবাবুকে যখন সকলে নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন, তখন তার পথেই হেঁটে নিজের ওয়েট বাড়ানোর চেষ্টা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!