এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য রাজনীতিতে ভূমিকম্প, মমতা ঘনিষ্ঠের হাজতবাস! আশা পূর্ণ হলো শুভেন্দুর!

রাজ্য রাজনীতিতে ভূমিকম্প, মমতা ঘনিষ্ঠের হাজতবাস! আশা পূর্ণ হলো শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একের পর এক দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঘটনায় কবে সঠিক বিচার হবে, তার জন্য অপেক্ষা করছেন বিজেপি কর্মীরা। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি, কবে প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে, তার প্রহর গুনছেন সকলেই। তবে এবার আশা পূর্ণ হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারীর। বিনা মেঘেই কার্যত বজ্রপাত ঘটে গেল বঙ্গ রাজনীতিতে। যে নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত, সেই নন্দীগ্রামের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের হাজতবাসের নির্দেশ দিল হলদিয়া মহকুমা আদালত।

প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম ছিল তৃণমূল নেতা আবু তাহেরের। বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাকে নোটিশ দিলেও তিনি হাজিরা দেননি। তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। যার পরেই তাকে ফেরার বলে ঘোষণা করেছিল আদালত। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কাছে গিয়েও ধাক্কা খেয়েছেন এই আবু তাহের। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকেও তাকে নিম্ন আদালতে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অবশেষে আজ হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসে জেল হাজত হয়ে গেল এই তৃণমূল নেতার। আগামী 19 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আর আদালতের এই নির্দেশের রীতিমতো খুশি বিজেপি কর্মীরা।

বলা বাহুল্য, এই নন্দীগ্রামে আবু তাহেরের মত নেতাদের জন্যেই বিজেপি কর্মীরা কার্যত আতঙ্কে ছিলেন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের ঘটনায় বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনে নাম জড়িয়ে ছিল এই তৃনমূল নেতার। কবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন বিজেপি কর্মীরা। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর মুখেও অনেকবার এই আবু তাহেরের মত নেতার নাম শোনা গিয়েছিল। তবে অবশেষে বিনা বজ্রপাতের মতোই রাজ্য রাজনীতিতে আজ ভূমিকম্প ঘটে গেল। আদালতের নির্দেশে প্রমাণ হয়ে গেল, দোষ করে কেউ চিরকাল বাইরে থাকতে পারে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিঃসন্দেহে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি কর্মীদের কাছে এটা বাড়তি উৎসাহের কারণ। কেননা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে। কিন্তু যে রাঘববোয়ালকে গ্রেফতার করে জেলে ঢোকানোর কথা, তাকে বারবার ডেকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে শুভেন্দুবাবু যে খুশি নন, তা তার একাধিক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে এত আলোচনা, এত চর্চা হয়েছে, অবশেষে সেখানেও সুবিচার পেল বিজেপি। ফলে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য শুভেন্দু অধিকারী প্রধান লক্ষ্য রাখলেও, তার আগে যে একটা ছোট পিলারকে ভেঙে দিতে সফল হলেন, তা বলাই যায়। অন্তত সেই ব্যাপারে সহমত পোষণ করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!