প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগেই চলতি মাসে পাঁচ দিন সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সময় থেকেই নানা প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন, এক দেশ এক ভোট নিয়ে আলোচনা করবে কেন্দ্র। অনেকে আবার বলেছিলেন, দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে এই অধিবেশনে আলোচনা করা হবে। কিন্তু সেই সমস্ত কিছুকে কার্যতা নস্যাৎ করে দিয়ে বিরোধীদের চরম মাস্টারস্ট্রোক দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বিরোধীরা এতদিন যে বিষয় নিয়ে মরাকান্না কাঁদছিল, সেই বিষয় নিয়ে চলতি অধিবেশনের আলোচনায় কোনো আলোচনাই রাখেনি কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধীদের যে জোট নানা অভিযোগ করেছিল, তা কার্যত ভিত্তিহীন হয়ে গেল।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আসন্ন পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে কি কি আলোচনার বিষয় রাখা হয়েছে তা সামনে এসেছে। যেখানে একদিন প্রজাতন্ত্র দিবস এবং আর একদিন কলেজিয়াম বিল নিয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও বাকি তিন দিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে খবর। আর এতেই রীতিমত চাপে পড়ে গেল বিরোধীরা। প্রমাণ হয়ে গেল যে, শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে কথা বলে ময়দানে টিকে থাকার জন্যই তৈরি হয়েছে এই ইন্ডিয়া জোট। পাঁচমিশেলি জোটের নেতারা এতদিন বিজেপির বিরুদ্ধে নানা কথা বলেছে। তবে সেই সমস্ত কিছু পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনের এজেন্ডা সামনে আসতেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল।

বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, রাষ্ট্রপতির নৈশ ভোজের আমন্ত্রণপত্র হোক বা দেশের প্রধানমন্ত্রীর পুষ্প স্তবকে ভারত নাম লেখা, এই ইস্যুতে নানা প্রশ্ন করেছে বিরোধীরা। এমনকি তাদের জোটের নাম ইন্ডিয়া দেওয়া হয়েছে, সেই কারণে বিজেপি ভয় পাচ্ছে। তাই দেশের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছে তারা। কিন্তু এই সমস্ত বিষয়ের কিছুই পাঁচ দিনের অধিবেশনে আলোচনার মধ্যে নেই। ফলে বিজেপিকে ইন্ডিয়া জোটের নেতারাই ভয় পেতে শুরু করেছেন। তাই নিজেরাই নিজেদের মনগড়া ভাবনার মত বিজেপিকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অধিবেশনের আলোচ্য সূচির সামনে আসতেই বিরোধীরা লজ্জায় পড়ে গেল। মিথ্যে কথা বলে ফায়দা তোলার রাজনীতি করে যে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না, তা এই মাস্টারস্ট্রোকে মধ্যে দিয়ে বিরোধীদের বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বলেই দাবি পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে দেশের নাম পরিবর্তন নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয়, এক দেশ এক ভোট নিয়ম যদি কেন্দ্রীয় সরকার লাগু করে, তাহলে চরম বিপদে পড়তে পারে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ফলে একপ্রকার আতঙ্কেই এতদিন বিভিন্ন মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এমন একটা ভাব করেছিলেন যেন, দেশ ধ্বংসের মুখে চলে গেল। আর তারা ক্ষমতায় না এলে দেশ বাঁচবে না। কিন্তু এবার তাদের ফাঁদে পাই দিলেন না প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ দিনের বিশেষ অধিবেশনে যে সমস্ত বিষয় আসবে বলে চর্চা হয়েছে, সেই কিছুই আসছে না। স্বভাবতই মোদীর এই মাস্টারস্ট্রোকে যে কুপোকাত হয়ে গেল বিরোধী জোট ইন্ডিয়া, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।