লোকসভায় পায়ের তলায় শক্ত হয়েছিল মাটি, কিন্তু দলীয় কোন্দলে বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে বিজেপির? নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য December 4, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে এতদিন তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বিরোধীদের, এবার সেখানেই বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল সামনে আসায় লোকসভা ভোটে ভালো ফলাফল করলেও বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এমন পরিস্থিতিতে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি গোষ্ঠীর কোন্দলের খবর সামনে এসেছে। জানা গেছে, বিজেপির যুব সভাপতি সৈকত সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একংশ। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাতে কর্মীদের থেকে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তোলা হয়েছে। কয়েক মাস আগে একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ উঠেছিল বলে জানা গেছে। এরপর কিছুদিন আগে আবারও উত্তরের জেলা সভাপতি আশুতোষ পালকে হেনস্তার ঘটনার পর আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম একাধিক ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু করেছে। ফলে বিজেপির একটা অংশ যে তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষেপে রয়েছে সেটা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার কয়েকজন কর্মীর ভিডিওবার্তা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কালীগঞ্জ ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি পরিচয় দিয়ে এক যুবককে বলতে শোনা গেছে, সৈকত সরকারকে সম্প্রতি যুব সভাপতি করা হয়েছে। আপনার মতামত জানান - তিনি ২০১৬ সালের বিধানসভায় কালীগঞ্জের প্রার্থী হয়েছিলেন। সেইসময় থেকেই কর্মীদের থেকে নানাভাবে টাকা নেন তিনি। ওই ব্যক্তির কথায়, তাঁর কাছ থেকেও নাকি টাকা নেওয়া হয়েছে। সেখানে জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কিছু লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কথায়, রাজ্য নেতৃত্ব চাইলে তিনি সব তথ্য তাঁদের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে, জেলা পরিষদের এক মহিলা প্রার্থী ভিডিও বার্তায় জানান, জেলা অফিসে সৈকতবাবুর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তাঁকে বাড়ি ভাড়ার খোঁজ দিতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি সেই ব্যবস্থা করে দিলেও আজ পর্যন্ত মালিককে তিনি কোনও টাকা দেননি। সেই টাকা ওই মহিলাকেই দিতে হয়েছে। সেখানে দল কী করে এরকম একজন নেতাকে এত বড় দায়িত্ব দিল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিজেপির আরও এক মহিলা কর্মী একটি ভিডিও বার্তায় জানান, তাঁকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দিতে বলা হয়। সেই প্রলোভনে পড়ে তিনি টাকা দিলেও আজ পর্যন্ত কোনও কাজ পাননি। যদিও এব্যাপারে সৈকতবাবু বলেন, এই ভিডিওগুলি আগেই ছড়ানো হয়েছে। তাঁর মতে, এসব অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। কারণ যদি তা থাকত তবে দ লতাঁকে এই দায়িত্ব দিত না। উল্টে তাঁর অভিযোগ তৃণমূলের প্ররোচনায় কয়েকজন তাঁকে অপদস্থ করার জন্য এমন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও তাঁর মতে, এতে তাঁর বা বিজেপির মতো দলের কিছু যায় আসে না। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যান রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে এব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তাঁকে বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিতে দেখা গেছে। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, একটা সংগঠন যখন বড় হয় তখন কিছু সমস্যা দেখা যাওয়াটা স্বাভাবিক। আবার একটা সংগঠন যখন ভেঙে পড়ে, তখনও সেভাবেই কিছু সমস্যা হয়। তাঁর কথায়, বিজেপি দ্রুত বড় হওয়ার জন্য কয়েকটি জায়গায় এরকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সবাই চাইছে যোগদান করতে, সবাই পদ পেতে চাইছে। কিন্তু সামনের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সকলের মধ্যে একটা উদ্দীপনা কাজ করছে বলেই মনে করছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, এই কারণেই নদীয়া উত্তরে মণ্ডল গঠনের সময়ও এই কারণে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। সেখানে কে নেতৃত্ব দেবে তা নিয়েই মতপার্থক্য তৈরি হয়। যদিও তাঁর কথায় তাঁরা অনেকটাই সামলে নিয়েছেন। তবে তৃণমূলের ক্ষেত্রেও মানুষের দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একই রকম সমস্যা হচ্ছে বলেই কটাক্ষ করেন তিনি। অন্যদিকে তৃণমূলকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রচারে নামতে দেখা গেছে বলেও জানা গেছে। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -