বিজেপি সরকারের জন্য বড়সড় ধাক্কা, রিপোর্টে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য জাতীয় রাজ্য July 6, 2019 সারা বিশ্বের উন্নয়নের ছবিকে যেন গ্রাস করেছে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের সমস্যা। যার জেরে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে শ্রমের বাজার। গত জুন মাসের বেকারত্বের হার গত 30 মাসের সর্বোচ্চ। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের হার সেই তুলনায় একেবারেই হতাশাজনক। যা গত 42 মাসে সর্বনিম্ন হয়ে গেছে। সূত্রের খবর, সেন্টার মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির (সিএমআইআই) প্রতিবেদনে তেমনই বার্তা দিয়েছে। যেখানে ওই প্রতিবেদন দেখিয়েছে, কর্মসংস্থানের করুণ দশা যা নেমে এসেছে ৩৯.৪২শতাংশ এবং জুনেই বেকারত্বের হার ছুয়ে যাবে সর্বোচ্চ শিখরে। যার সংখ্যাটা ৭. ৯১ শতাংশ। ওই প্রতিবেদনের ভাষায় দ্ব্যর্থ হয়েছে, প্রথমটি একেবারেই কম এবং তৃতীয়টি মাত্রাতিরিক্ত। মে মাসে যেখানে বেকারের হার ছিল ৭.২ শতাংশ এবং গত বছরের জুনে ছিল ৫. ৮ শতাংশ, যা এবার জুনে বেড়ে হয়েছে ৭.৯১ শতাংশ। যা 2016 সালের সেপ্টেম্বর থেকে 33 মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। অন্যদিকে সিএমআইআই তার প্রতিবেদনে আরও বলেছে যে, চলতি মাসের জুন থেকে শুরু করে 9 তারিখ পর্যন্ত বেকারত্বের হার বাড়তে দেখা গিয়েছে। তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় 9 শতাংশ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু তারপরে আবার তা কমতে শুরু করে। দ্বিতীয় সপ্তাহে 8.5 শতাংশ থাকলেও তারপরে আরও কিছুটা কমে 7.4% এবং শেষ সপ্তাহে দাঁড়ায় 7 শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলেছে, 2019-20 এর প্রথম মাসিক কর্মসংস্থানের হার ছিল 39.6 শতাংশ, যা 2016 থেকে যে কোনও ত্রৈমাসিক থেকে সবচেয়ে কম। bjp govtএর হারের অবশ্য কিছুটা উন্নতি হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে হওয়া ত্রৈমাসিক থেকে আগে ত্রৈমাসিকের ৩৯.৭ শতাংশের থেকে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৯.৯ শতাংশে। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আবার এই হার পড়তে শুরু করে জুন 2019 এ। ত্রৈমাসিকে মে মাসে সর্বনিম্ন স্তরে ইতিমধ্যে যা ভাবাতে শুরু করেছে। দেশজোড়া অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি চিন্তার ভাজ পড়তে শুরু করেছে কর্মসংস্থান এবং শ্রম বিষয়ক মন্ত্রীর কপালে। এরকম অবস্থায় অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ভারত যতই শীর্ষ উঠুক না কেন, দেশের বেকার সমস্যা সমাধান না হলে অদূর ভবিষ্যতে তার রাজনৈতিক এবং সামাজিক অবক্ষয় নিশ্চিত। যা নিয়ে অতিসত্বর ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যিক বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে নিরাশার পাশাপাশি সরকারি তত্ত্বাবধানে পরিস্থিতি ভালোর দিকে এগোবে বলে আশায় রয়েছে সকলেই। আপনার মতামত জানান -