এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির যুব কমিটির পদাধিকারী নিয়ে কি কৈলাশ-দিলীপের দ্বন্দ্ব চরমে? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা

বিজেপির যুব কমিটির পদাধিকারী নিয়ে কি কৈলাশ-দিলীপের দ্বন্দ্ব চরমে? ক্রমশ তীব্র হচ্ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কি বিজেপি যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দ্বন্দ্ব বেধে গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের? বস্তুত, এই যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে বিজেপিতে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছিল। গত রবিবার যুব মোর্চার রাজ্য কমিটিতে দিলীপ ঘোষের পছন্দ অনুযায়ী প্রকাশ দাস নামে এক ব্যক্তিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। আর তা নিয়েই বিজেপির রাজ্য সভাপতির সঙ্গে মতান্তর তৈরি হয় যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বলে গুঞ্জন গেরুয়া শিবিরের অন্দরে।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরে জল্পনা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয় নাকি চেয়েছিলেন মুকুল রায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং অনুপম হাজরাকে এই পদে বসানো হোক। কিন্তু অনুপম হাজরাকে সহ সভাপতি করা হলেও শঙ্কুদেব পণ্ডাকে কোনো জায়গা দেওয়া হয়নি। আর‌ এহেন পরিস্থিতিতে শঙ্কুদেব পণ্ডাকে দলে জায়গা দেওয়া নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়, ঠিক তখনই নাকি এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠকে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন যে, শঙ্কুদেব পন্ডাকে সাধারণ সম্পাদক করার পক্ষে নন তিনি।

স্বাভাবিকভাবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এখন তীব্র গুঞ্জন তৈরি হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির অন্দরমহলে। তাহলে কি এবার যুব মোর্চা কমিটি নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের সঙ্গেও দ্বন্দ্ব বেধে গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের? এদিন এই প্রসঙ্গে অবশ্য দিলীপ ঘোষ বলেন, “কৈলাশজির সঙ্গে কোনো বৈঠক করিনি। অনেকদিন ওনার সঙ্গে দেখা হয়নি। তাই আড্ডা মেরে এলাম। পরিবর্তন হবে বলে আমার জানা নেই। শঙ্কুর সঙ্গে কথা বলেই যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির করা হয়েছে। ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাবে বলে ওকে রাজ্যে রাখা হয়নি।”‌

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে যুব মোর্চাতে গুরুত্বপূর্ণ পদ না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, “আমি একটু হতাশ। গত একবছর আমি রাস্তায় নেমে একের পর এক আন্দোলন করেছি। বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে সিএএর সমর্থনে প্রথম আন্দোলন আমি করেছিলাম। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আন্দোলন করেছিলাম। কাজের নিরিখে পদ দেওয়া হলে আজ হয়ত হতাশ হতাম না।” এদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনুপম হাজরা সহ-সভাপতি হিসেবে কাজ করতে চান। তার ঠাকুমা অসুস্থ বলে তিনি বর্ধমানে গিয়েছিলেন। তাই গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচিতে আসতে পারেননি।”

তবে বিজেপিতে যুব মোর্চার পদ নিয়ে যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও খুশি তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সৌমিত্র খাঁকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। ট্যুইটে তিনি বলেন, “সৌমিত্র খাঁ এবং দিলীপ ঘোষের অন্তর্দলীয় লড়াইয়ে কে জেতেন, তা দেখতে দেখতে একটু পপকর্ন খাওয়া যাক। ম্যাচ রেফারি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে দলের যুব সংগঠন সবথেকে বেশি শক্তিশালী, সেই দল তত তাড়াতাড়ি সাফল্য পায়।

সেদিক থেকে বিজেপি 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগেই নতুন যুব কমিটি গঠন করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাস্তাকে বেছে নিতে শুরু করেছে। কিন্তু এমত পরিস্থিতিতে যেভাবে সেই যুব মোর্চার কমিটিকে পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে বিজেপির অন্দরে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছে, তাতে গেরুয়া শিবির কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দিলীপ ঘোষ এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মধ্যে যুব মোর্চার কমিটি নিয়ে‌ যে দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে, তাতে গেরুয়া শিবিরে কতটা আলোড়ন পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!