এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে বাংলা দখলের পরিকল্পনা! তৃনমূলের পথেই বিজেপি!

বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে বাংলা দখলের পরিকল্পনা! তৃনমূলের পথেই বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারের আমলের শেষের দিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নানা লড়াই, আন্দোলন করার পাশাপাশি বুদ্ধিজীবীদের ময়দানে নামানো হয়েছিল। সিঙ্গুর থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম, বিভিন্ন ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বাম সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছিল বাংলার বিশিষ্টজনেদের। আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই তৃনমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বুদ্ধিজীবীদেরকেই কি মুখ করতে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি !

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ক্ষমতায় আসলে সোনার বাংলা গঠন করা হবে। আর এই সোনার বাংলা গঠন করার অভিযানে এবার মাস্টারমশাই থেকে শুরু করে ডাক্তারবাবু, এমনকি সমাজের বিশিষ্ট জনেদের শামিল করার উদ্যোগ নিল বঙ্গ বিজেপি। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, রাজ্যের 294 টি বিধানসভা কেন্দ্রে দলের ভাবনা এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে সমস্ত প্রকল্প চালু করা হয়েছে, তার প্রচার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সমাজের বিশিষ্টজনদের সামনের সারিতে নিয়ে আসতে চাইছে বিজেপি।

অর্থাৎ বাংলার বিশিষ্টজনদের সামনে রেখে তাদের মধ্যে দিয়েই মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কেননা ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি বাংলার সংস্কৃতিকে অবহিত নয়। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিতে বাংলার বিশিষ্টজনদের সামনে নিয়ে এসে বিজেপি চেষ্টা করছে তৃণমূলকে পাল্টা মাত দিতে।

বস্তুত, ইতিমধ্যেই “লক্ষ্য সোনার বাংলা” কর্মসূচির সূচনা করেছে গেরুয়া শিবির। রন্তিদেব সেনগুপ্ত, স্বপন দাশগুপ্তের মত ব্যক্তিরা এই কর্মসূচির সূচনা করে কার্যত চাপে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে বিজেপির ভাবনা তুলে ধরতে পাড়ায় পাড়ায় ডাক্তার থেকে শুরু করে শিক্ষক এবং সংস্কৃতিমনা ভাবাপন্ন মানুষদের কাজে লাগাতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “প্রতিটি এলাকার বিশিষ্ট জনেদের আমরা প্রচারে রাখব। তারা আমাদের সঙ্গে বাংলার উন্নয়নের লড়াইয়ে সামিল হবেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির বুদ্ধিজীবী সেলের আহ্বায়ক রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, “প্রশাসন থেকে তৃণমূল সরকারের আমলে 43 বছরে বাংলা পিছিয়ে পড়েছে। শিল্প, শিক্ষা, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বাংলা পিছিয়ে পড়ছে।” অর্থাৎ বিজেপি নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট, তারা বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে নিতে এখন থেকেই বুদ্ধিজীবীদের কাজে লাগাতে চাইছে।

অর্থাৎ যেভাবে বিগত বাম সরকারের আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার বিশিষ্টজনদের সামনের সারিতে নিয়ে এসে বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিল, সেই একই ভাবে এবার তৃণমূলকে চাপে রেখে এক পন্থা অবলম্বন করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। একাংশ বলছেন, এর মধ্যে দিয়ে বিজেপি এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে। একদিকে যেমন তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি বাংলার সংস্কৃতি সম্পর্কে অবহিত নয়, এই ভাবনা দূরীভূত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির।

ঠিক একইভাবে বাংলার বুদ্ধিজীবীদের সাথে নিয়ে তৃণমূল বিরোধী প্রচারকে আরও জোরদার করতে চাইছে পদ্ম শিবিরের নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির এই নয়া পন্থা তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেকটাই চাপে রাখবে বলে দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!