এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি নাকি জমিদারি চালাচ্ছে, নিজের জালে নিজেই ফাঁসলেন অভিষেক! জোর কটাক্ষ বিজেপির!

বিজেপি নাকি জমিদারি চালাচ্ছে, নিজের জালে নিজেই ফাঁসলেন অভিষেক! জোর কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বর্তমানে আপনার একটু নজর রাখলেই দেখতে পাবেন যে, বাংলার যুবরাজ বিজেপির বিরুদ্ধে জমিদারি প্রথার অভিযোগ তুলছেন। এমনকি রাজ্যপালের বিরুদ্ধেও সেই একই কথা বলছেন তিনি। কিন্তু কে যে বাংলার রাজনীতিতে প্রকৃত জমিদারের মতো আচরণ করছেন, তা সাধারণ মানুষ খুব ভালো মতোই জানে। তারা হয়তো পুলিশের ভয়ে মুখ খুলতে পারছে না। তবে ভোটের বাক্সে মানুষ ঠিক তৃণমূলকে জবাব দেবে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপির বিরুদ্ধে জমিদারি প্রথার অভিযোগ আনছেন, ঠিক তখনই নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেলেন তিনি। তাকে এমন একটি প্রশ্ন বাণে বিদ্ধ করলেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ, যাতে স্পষ্ট হয়ে গেল, বিজেপি নয়, রাজ্যে জমিদারি প্রথা চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার ভাইপো এবং তার প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, রাজভবন চলো অভিযান থেকে মঞ্চ করে প্রত্যেক দিন বিজেপির বিরুদ্ধে জমিদারি প্রথার অভিযোগ আনছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এদিন তার সেই অভিযোগকে নস্যাৎ করে বড় যুক্তি সামনে এনেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কিছুদিন আগেই চাকরিপ্রার্থীদের একটি মিছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আটকানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে বহু যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি প্রার্থীরা আদালত থেকে ক্যামাক স্ট্রিটের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে যেতে অনুমতি নিয়ে এসেছে। তারপরে মিছিল হয়েছে। একাংশের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? আর যদিও বা তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েও থাকেন, এরকম কি কোনো নিয়ম রয়েছে নাকি যে, মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের পাশ দিয়ে বা তার বাড়ির পাশ দিয়ে কোনো কেউ মিছিল করতে পারবে না। রাজ্যে তো এরকম কোনো নিয়ম নেই। এরকম কোনো আইন নেই। তারপরেও একজন সাধারন সাংসদ, তার বাড়ির পাশ দিয়ে মিছিল যেতে পারবে না বলে আদালতে কেন যুক্তি দিয়েছে পুলিশ? এটা কি জমিদারি প্রথা নয়! কেন নিজের করা কৃতকর্মগুলো ভুলে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলছে সমালোচক মহল।

বিজেপির কটাক্ষ, যদি বিজেপি সত্যিই জমিদারী চালাতো, তাহলে দিল্লিতে গিয়ে সভা করতে পারতেন না বাংলার জমিদার। বাংলায় পুলিশকে কিভাবে তারা পরিচালিত করেন, তা তো গোটা দেশের মানুষ দেখেছে। কিভাবে পুলিশ দিয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করেন, কিভাবে নিজেরা জমিদারি প্রথাকে এই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে স্থাপিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, পিসি ভাইপোর কীর্তি কিন্তু গোটা দেশের মানুষের কাছে অজানা নয়। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনছেন, তাতে এবার নিজেই ফেঁসে গেলেন প্রমাণ হয়ে গেল। দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশ দিয়ে কোনো মিছিল গেলেও সেখানে পুলিশের আপত্তি থাকে। অর্থাৎ তিনি জমিদার হয়ে বসে থাকবেন, আর তার বাড়ির পাশ দিয়ে কোনো মিছিল যেতে পারবে না। কেউ আওয়াজ তুলতে পারবে না। অথচ তিনি রাজভবনের মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দিনের পর দিন ধর্নার নামে নাটক করতে পারবেন। ফলে যুবরাজ একটু জানাবেন, আসল জমিদারি প্রথা কি তিনি বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত করছেন না? আক্রমণ করে তেমনটাই বলছে পদ্ম শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে হলে আগে নিজের অবস্থান ঠিক রাখতে হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের অবস্থান ঠিক নেই। যে জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধে তারা এত বড় বড় কথা বলছেন, সেই জমিদারি তো নিজেরাই চালাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে। তাছাড়া তার বাড়ির পাশে চাকরিপ্রার্থীরা মিছিল করবে, তার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হয়! পুলিশ নির্লজ্জের মত জমিদার যুবরাজের ক্রীতদাস হয়ে আদালতে যুক্তি দেয় যে, না, সেই জায়গা দিয়ে মিছিল গেলে একটু অসুবিধা হবে। এই তো পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা। ফলে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যুবরাজের থোতা মুখ ভোঁতা করে দিলেন দিলীপ ঘোষ দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!