এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নম্বর বিলিতে নয়া বিতর্ক, অভিষেককে চরম বিপাকে ফেললেন মমতার মন্ত্রী! চ্যালেঞ্জ বিজেপির!

নম্বর বিলিতে নয়া বিতর্ক, অভিষেককে চরম বিপাকে ফেললেন মমতার মন্ত্রী! চ্যালেঞ্জ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বঙ্গ রাজনীতিতে বর্তমানে যে রাজনীতির আমদানি করেছে রাজ্যের শাসক দল এবং তাদের যুবরাজ, তাকে নিন্দা জানানোর মত ভাষা নেই। বিরোধীরা বলছেন, রাজনীতিতে আক্রমণ প্রতি আক্রমণ থাকবে। কিন্তু তাই বলে কোনো নেতার ব্যক্তিগত নম্বর কি কোনো দলের মঞ্চ থেকে এইভাবে বিলি করা যায়? যা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করলেন। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনিও বলেছেন যে, আমার কাছেও তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বর রয়েছে। আমি যদি চাইতাম, তাহলে তো ওনার নম্বর আমি সবাইকে দিয়ে দিতে পারতাম। কিন্তু আমি তো তা করিনি। কারণ আমি শিষ্টাচার জানি। আর উনি তা লংঘন করেছেন। তবে সুকান্তবাবু যখন এই কথা বলছে, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ অবলম্বন করে এমন এক কথা বললেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, যার ফলে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গেল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি। তারা এবার সেই মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে একটাই কথা বলছেন, সুকান্তবাবুর নম্বর দিয়েছেন, তাতে বিজেপি বা সুকান্তবাবুর কোনো আপত্তি নেই। আপনারা করেছেন, খুব ভালো করেছেন। কিন্তু জনপ্রতিনিধি তো আপনাদের যুবরাজও। তাহলে কি এবার তার নম্বর প্রকাশ্যে বিলিয়ে দেওয়ার মত ক্ষমতা আপনাদের রয়েছে?

প্রসঙ্গত, এদিন সুকান্ত মজুমদার যখন তার ব্যক্তিগত নম্বর দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন পাল্টা বড় বড় গলায় বড় বড় যুক্তি সামনে এনেছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি সুকান্তবাবুর উদ্দেশ্যে বলেন “সুকান্তবাবু আপনি এত বিরক্ত হচ্ছেন কেন? আপনি তো জনপ্রতিনিধি। আপনার নম্বর তো মানুষের কাছে থাকা প্রয়োজন। তাই এতে তো আপনার বিরক্ত হওয়ার কিছু নেই।” একাংশ বলছেন, শশী পাঁজা একদম ঠিক কথা বলেছেন। শুধু সুকান্তবাবু কেন, দেশের প্রত্যেকটি জনপ্রতিনিধির নম্বর সাধারণ মানুষের কাছে থাকা উচিত। কারণ সাধারণ মানুষের অভাব, অভিযোগের কথা তো এই জনপ্রতিনিধিরাই শুনবেন। কিন্তু শশীদেবী কি করে ভুলে গেলেন যে, তাদের দলের সর্বোচ্চ নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নম্বর তার অনেক কর্মীদের কাছেই নেই। মানুষ তো অনেক পরের কথা, আগে কর্মীদের কাছে অন্তত যুবরাজ আগে তার নম্বরটা বিলি করুন। তারপর বিরোধীদলের রাজ্য সভাপতি উদ্দেশ্যে এত বড় বড় জ্ঞান দিতে আসবেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

বিজেপির চ্যালেঞ্জ, যদি ক্ষমতা থাকে, তাহলে যুবরাজ এবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তার নম্বরটা ঘোষণা করার মত হিম্মত দেখান। তাহলেই বোঝা যাবে, তিনি প্রকৃত নেতা। মানুষের কাছে তো তার নম্বর পাওয়া আষাঢ়ে গল্প। কিন্তু কর্মীরাও বিপদে তাকে ফোন করার সাহস দেখান না। কারণ ফোন করবেন কি করে? নম্বর তো দেননি যুবরাজ। কিন্তু বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির নম্বর সমস্ত শিষ্টাচার ভেঙে তিনি প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দিতে পারেন। আর তারপর সেই যুবরাজের পক্ষ অবলম্বন করে শশী পাজার মত মন্ত্রীরা বড় বড় কথা বলেন। লজ্জা থাকলে আগে নিজের দলের যুবরাজকে নেতা হতে বলুন। কর্মীদের কাছে পৌঁছতে বলুন। তারপর অন্য দলের নেতাকে বড় বড় জ্ঞান দিতে আসবেন বলেই কটাক্ষ পদ্ম শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে যুবরাজকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে, তিনি রাজনীতির মর্ম বুঝবেন কি করে? তাকে তো কষ্ট করে রাজনীতির ময়দানে আসতে হয়নি, লড়াই করতে হয়নি। পিসির দয়ায় তিনি একটি দলের সর্বে সর্বা হয়েছেন। কয়েকদিন পরে হয়তো সরকারেও জায়গা করে নেবেন। ফলে যিনি আন্দোলন করেননি, যার রাজনীতিতে কোনো অবদান নেই, তিনি এই ধরনের নোংরা রাজনীতি করবেন, বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতির ফোন নম্বর প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা করে নিজের একটা ছেলেখেলা মনোভাবের পরিচয় দেবেন, এটাই তার কাছ থেকে আশা করা যায়। কিন্তু শশীদেবী তো অভিজ্ঞ মন্ত্রী। যুবরাজ এত ছেলেখেলা করার পরেও কেন তাকে সতর্ক করে দিচ্ছেন না? উল্টে তার পক্ষ অবলম্বন করেই আবার সুকান্তবাবুকে আক্রমণ করার পথে কেন নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য? অনেকে বলছেন, এই শশীদেবীরাও বুঝে গিয়েছেন যে, দল আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে নেই। তিনি এখন অবসর নেওয়ার পথে। সবটাই ভাইপোর হাতে তুলে দিচ্ছেন। তাই যে করেই হোক, তাকে খুশি রাখতে হবে। নিজের পদ টিকিয়ে রাখতে তাই ভাইপোর যুক্তিতেই সাড়া দিয়ে ছেলে খেলার রাজনীতিতেই পা বাড়াচ্ছেন শশীদেবী। তবে আর যাই করুন, যদি নিজের বক্তব্যে অনড় থাকতেই হয়, তাহলে শশীদেবী অন্তত ভাইপোকে বলে যুবরাজের নম্বরটা প্রকাশ্যে বিলি করার মতো ক্ষমতা দেখান। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!