এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিজেপি সাংসদ আসরে নামতেই, রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য বিজেপি সাংসদ আসরে নামতেই, রাজনীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গ থেকে একটি আসনও তৃনমূল নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি। সেখানকার আটটির মধ্যে সাতটি আসনই দখল করেছে বিজেপি। যার পরেই সেই উত্তরবঙ্গের যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি সাংসদরা জয়লাভ করেছে, সেই সমস্ত জায়গার উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছতে উদ্যোগী হয়েছে বিজেপি সাংসদরা।

সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জন বারলা ফালাকাটার গুয়াবরনগর পঞ্চায়েতের বড়ডোবা গ্রামে মুজনাই নদীর উপর পাকা সেতু তৈরিতে উদ্যোগী হওয়ায় এই গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল বনাম বিজেপি’র মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা।

বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এই বড়ডোবা গ্রামটি রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী সিপিএমের প্রয়াত যোগেশ চন্দ্র বর্মনের পৈতৃক গ্রাম হওয়া সত্ত্বেও বামেদের আমলে এখানকার মুজনাইয়ে পাকা সেতু হয়নি। তৃণমূলের আমলেও বড়ডোবায় মুজনাইয়ে পাকা সেতু তৈরিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বিজেপি সাংসদের বড়ডোবা গ্রামে মুজনাইয়ে এই পাকা সেতু তৈরির উদ্যোগকে স্রেফ রাজনৈতিক চমক বলে কটাক্ষ করেছে। জানা গেছে, এখানে যোগেশ চন্দ্র বর্মন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বড়ডোবায় মুজনাইয়ে পাকা সেতু তৈরি হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, ফালাকাটার বর্তমান তৃনমূল তৃণমূলের অনিল অধিকারীরও জমি আছে সেই বড়ডোবা গ্রামে। কিন্তু বড়ডোবায় মুজনাই নদীর উপর পাকা সেতু থেকে বঞ্চিত সেখানকার মানুষ। আর সেই সেতু নির্মাণের দাবি খতিয়ে দেখতেই বৃহস্পতিবার বিকালে সেখানে যান বিজেপি সাংসদ জন বারলা। আর এই জায়গা পরিদর্শনের পর বিজেপি সাংসদ বলেন, “বড়ডোবায় মুজনাইয়ে সেতু তৈরি নিয়ে আমি কোনও রাজনীতি করতে চাই না।

বাসিন্দাদের দাবিতেই বৃহস্পতিবার মুজনাইয়ের ঘাট দেখতে গিয়েছি। এখানে পাকা সেতু করতে গেলে পাঁচ থেকে ছ’কোটি টাকার মতো দরকার। যা সংসদ সদস্যের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের অর্থে সম্ভব নয়। দেখি অন্য ভাবে অর্থ জোগাড় করা যায় কি না।” তবে এই ব্যাপারে পাল্টা জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক কার্যকরী সভাপতি সন্তোষ বর্মন বলেন, “বিজেপির সংসদ সদস্যের মুজনাইয়ের ঘাট পরিদর্শন স্রেফ রাজনৈতিক চমক ছাড়া আর কিছুই নয়।

বড়ডোবায় মুজনাইয়ে পাকা সেতু তৈরির পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আমরা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরে পাঠিয়েছি।” কিন্তু এই ঘটনায় বিধায়ক অনিল অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কিন্তু বিজেপি সাংসদ উন্নয়নের জন্যে এই ঘাট পরিদর্শন করলেও তাঁকে কটাক্ষ করেছেন গুয়াবরনগর পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের সুধাংশু বর্মন।

এদিন তিনি বলেন, বিজেপি’র কর্মী সমর্থকদের উজ্জ্বীবিত করতেই ওই দলের সংসদ সদস্য মুজনাইয়ের ঘাট পরিদর্শন করেছেন। তিনি ঘোলাজলে মাছ ধরতে চাইছেন।” তবে এই উন্নয়ন নিয়ে যতই তৃনমূল – বিজেপির মধ্যে তরজা হোক না কেন, সাধারণ মানুষ চাইছেন, দ্রুত তাদের সেতু তৈরি হোক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!