শাসকদলের ‘সন্ত্রাস’ থেকে দলীয় প্রার্থীদের বাঁচাতে ‘ভুয়ো নাম’ ছড়িয়ে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বিজেপির বিশেষ খবর রাজ্য April 7, 2018 রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে বঙ্গের রাজনীতি, চারিদিকে ঘটছে একের পর এক রক্তক্ষয়ী ঘটনা। বেশিরভাগ জায়গাতেই আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা, আর অভিযোগের তীর উঠছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ত্ব এই সমস্ত দাবি উড়িয়ে দিয়ে জানিয়েছে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে ‘উন্নয়নের’ নিরিখে আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ত্বে রাজ্যজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে উন্নয়ন করেছে তারফলে বিরোধীরা প্রার্থীই খুঁজে পাচ্ছে না। তাই মুখ বাঁচাতে শাসকদলের বিরুদ্ধে এইসব ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছে। যদিও সেকথা মানতে একেবারেই রাজি নয় অন্যতম বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে প্রবল তৃণমূল-বিরোধী হাওয়া চলছে। ফলে শাসকদল রাজ্যে কোনোরকমে নির্বাচন হোক, সেটাই চাইছে না। আর তাই, বিজেপি শিবির থেকে কারোর নাম প্রার্থী হিসাবে ঘোষণা হলেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ত্বে ভয় দেখানো, মারধর, এমনকী অপহরণের ঘটনাও ঘটছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে আর তাই, নিজেদের পঞ্চায়েত প্রার্থীদের ‘সুরক্ষা দিতে’ এক অভিনব পন্থা আবিষ্কার করেছে গেরুয়া শিবির। এমনকি জলপাইগুড়িতে সেই পন্থা অবলম্বন করে এসেছে ‘আশাতীত’ সাফল্য, ফলে রাজ্য জুড়েই সেই প্রক্রিয়া নিতে চলেছে গেরুয়া শিবির বলে সূত্রের খবর। কি সেই নতুন অভিনব পন্থা? বিজেপি শিবির থেকে জানা যাচ্ছে, আসল প্রার্থীর নাম গোপন রেখে পরিকল্পনামাফিক একাধিক ভুয়ো প্রার্থীর নাম উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর তাতেই নাকি শাসকদলকে রীতিমত বিড়ম্বনায় ফেলা গিয়েছে। বিজেপিনেতা দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, এইরকমই ভুয়ো এক প্রার্থীকে গোপন ডেরায় তুলে নিয়ে গিয়ে শাসানোর পর নিজেদের ভুল বুঝতে পারে তৃণমূলের ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী, পরে তাঁকে ছেড়েও দেয়। অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগে সব আসনে প্রার্থী খুঁজে পাক বিজেপি, তারপর তো মারধর-হুমকির প্রশ্ন। সব আসনে প্রার্থী পাচ্ছে না বলেই এই সব অভিযোগ তুলে হাওয়া গরম করতে চাইছে বিজেপি। আপনার মতামত জানান -