এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলায় নতুন সমীকরণ – প্রার্থী দিচ্ছে মিম, তৃণমূলকে হারাতে বাম-কং জোটকে সমর্থন বিজেপির!

বাংলায় নতুন সমীকরণ – প্রার্থী দিচ্ছে মিম, তৃণমূলকে হারাতে বাম-কং জোটকে সমর্থন বিজেপির!


সম্প্রতি রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। যেখানে লোকসভায় 6 মাস আগে বিজেপি সাফল্য পেলেও সেই বিধানসভা উপনির্বাচনে কার্যত পরাজিত হতে হয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। তিনটি কেন্দ্রে হেরে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। আর তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে সকলের জল্পনা-কল্পনাকে ম্লান করে দিয়ে এই ফলাফল হলেও এবার নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ সামনে এল।

যে সমীকরণে অনেকেরই চোখ কপালে উঠে যেতে পারে। বস্তুত, 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে ফল প্রকাশের পর বিজেপি 18 টি আসন পাওয়ায় তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, বামেদের ভোট বিজেপির বাক্সে যাওয়াতেই বিজেপি এই সাফল্য পেয়েছে। তবে বরাবরই বাম এবং বিজেপির তরফে সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত রাজ্যের 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি একেবারে পর্যদুস্ত হওয়ায় উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের ভোগ্রাম সিনিয়র হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বাম- কংগ্রেস জোট প্রার্থীকে সমর্থন করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।

যে অভিযোগ তুলে সরব হল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, রবিবার এই হাই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটগ্রহণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশ্চর্যজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান বিরোধী রাজনৈতিক দল বলে পরিচিত বিজেপির পক্ষ থেকে এখানে কোনো প্রার্থী দেওয়া হয়নি। তবে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী দেওয়ায় বিজেপি তাদেরকে সমর্থন করছে বলে দাবি ঘাসফুল শিবিরের। তৃনমূলের বক্তব্য, রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হওয়ার পর তারা আর পৃথকভাবে লড়ার সাহস পাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাই আড়ালে আবডালে থেকে এই পরিচালন সমিতির নির্বাচনে তারা জোট প্রার্থীকে সমর্থন করেছে। তবে বিজেপির তরফে অবশ্য এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা আজাদ আলি বলেন, “এনআরসি নিয়ে প্রচারের ফলে বিজেপির সমর্থনে ভাটা পড়েছে। যার ফলে সংগঠন দুর্বল হয়েছে। তবে বাম- কংগ্রেসকে জোটকে সমর্থনের প্রশ্ন নেই। আমরা প্রার্থী দিইনি। বিজেপি সমর্থকরা যাকে খুশি ভোট দেবেন।”

এদিকে আশ্চর্যজনকভাবে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে এই প্রথম রাজ্যের কোনো নির্বাচনে প্রার্থী দিতে দেখা গেল সংখ্যালঘুদের সংগঠন বলে পরিচিত এআইএমআইএম বা মিমকে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে এই মিম সংগঠন রাজ্যে আত্মপ্রকাশ করবে বলে জল্পনা চলছিল। যার ফলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ আশঙ্কা করেছিলেন যে, সংখ্যালঘুদের এই সংগঠনটি যদি রাজ্যে প্রার্থী দেয়, তাহলে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাংক অনেকটাই ধাক্কা খাবে।

আর এবার নিজেদের কথামত এই হেমতাবাদের মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিল সেই এআইএমআইএম। একাংশ বলছেন, ধীরে ধীরে জাল বিস্তার করতে করতে তারা পরবর্তীতে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারে। আর তার ফলে তৃণমূলের এই সংখ্যালঘু ভোটব্যাংকে অনেকটাই ধাক্কা আসবে। তবে জোটের তরফে অবশ্য এই হেমতাবাদের মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে মিমের প্রার্থী দেওয়াকে কেন্দ্র করে অন্য কারণ দেখানো হচ্ছে।

বাম-কংগ্রেস জোট নেতাদের দাবি, তৃণমূলের সুবিধা করে দিতেই মিম এই প্রার্থী দিয়েছে। আদতে তৃণমূলের সঙ্গে তাদের তলায় তলায় জোট হয়েছে। তবে এই প্রসঙ্গে মিম নেতা মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, “আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনো সম্পর্ক নেই।” সব মিলিয়ে রাজ্যের তিন উপনির্বাচন সমাপ্ত হওয়ার পরেই মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী না দেওয়া এবং মিমের প্রার্থী দেওয়া অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন অনেক জটিল সমীকরণ সামনে আসতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!