এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি-ত্যাগী নেতাকে নিয়ে সমস্যা, বিক্ষোভে জেরবার তৃণমূল!

বিজেপি-ত্যাগী নেতাকে নিয়ে সমস্যা, বিক্ষোভে জেরবার তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই খেলা ঘুরতে শুরু করেছে পশ্চিমবাংলায়। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে নেতারা বিজেপিতে যোগদান করলেও, নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানোর পরেই বিজেপির ভাঙ্গন প্রকাশ্যে আসে। যেখানে বর্তমানে বিজেপি থেকে হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন বলে খবর সামনে আসতে শুরু করেছে।

ইতিমধ্যেই মুকুল রায়ের মত হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা তার পুরনো ঘর তৃনমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন। আর তারপরেই আরও অনেক বিজেপি নেতা, বিধায়ক এবং সাংসদ গেরুয়া শিবির ত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে অনেক নেতা-নেত্রীকে দলে গ্রহণ করা নিয়ে নীচুতলার তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে আপত্তি তৈরি হয়েছে।

অনেকে বলেছেন, এতদিন 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের কঠিন লড়াইয়ের সময় অনেকে দলত্যাগ করেছেন। তারা সেই সময় দলের পাশে ছিলেন না। তাই এখন তারা দলে ফিরতে চাইলেও তাদের যেন গ্রহন না করা হয়। স্বভাবতই এই রকম একটি সমস্যাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শাসকদলের অন্দরমহল।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি উত্তর 24 পরগনার আমডাঙার তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য মোহন বিশ্বাস তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়। আর তারপরেই ব্যাপক আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ‌। তবে দল অন্তর্ভুক্তির পক্ষে সওয়াল করলেও, একাংশ সম্পূর্ণ এর বিপক্ষে মত পোষণ করতে শুরু করেন।

এতদিন বিজেপিতে থেকে নির্বাচনে লড়াইয়ের সময় প্রতি মুহূর্তে যাদের আক্রমণের মুখে পড়তে হত, এখন তাদের দলে স্বাগত জানিয়ে লাভের লাভটা কি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে শুরু করে তৃণমূলের নীচুতলার নেতা-কর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই মোহনবাবুকে গ্রহণ করা হবে কি হবে না, তা নিয়ে রীতিমত চাপে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই আমডাঙ্গার তৃণমূল বিধায়কের কাছে মোহন বিশ্বাসকে যাতে দলের গ্রহণ করা না হয়, তার জন্য আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। যদিও বা এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক রফিকার রহমান। এদিন তিনি বলেন, “মোহনকে দলে নেওয়া হবে কিনা, সেটা বিষয়ে দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। তবে তারাবেড়িয়ে পঞ্চায়েত তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই থাকবে।” আর সেখানেই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

তাহলে কি শুধুমাত্র ক্ষমতা দখল এখন সব থেকে বড় পাখির‌ চোখ শাসকদলের কাছে? কিছুদিন আগেই প্রতিপক্ষের সাথে লড়াই করতে গিয়ে যে বিজেপি নেতাদের সম্পর্কে নানা আক্রমণ করতে দেখা যেত তৃণমূল কংগ্রেসকে, জয়লাভের পর সেই প্রতিপক্ষ টিমের একজন সৈনিককে নিজেদের দিকে নিয়ে পঞ্চায়েত দখলটাই কি সব থেকে বড় হয়ে দাঁড়াল শাসকদলের কাছে? তাহলে কি তাদের নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধ সমস্ত কিছু বৃথা চলে গেল?

যে সমস্ত নেতাকর্মীরা গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন, বিজেপি নেতার অন্তর্ভুক্তির ঘটনাতে তারা আপত্তি জানানোর পর কেন তৃনমূল বিধায়ক বলতে পারলেন না যে, মোহন বিশ্বাসকে তারা দলে নেবেন না? এখন এই সমস্ত প্রশ্নই তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। তাদের দাবি, ব্ল্যাকমেলিং করে পঞ্চায়েত দখল করবার জন্য তৃণমূল এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!