এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপিতে না যাওয়াতেই কি প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার উপর হামলা? গ্রেপ্তার ৪ রাজনৈতিক কর্মী!

বিজেপিতে না যাওয়াতেই কি প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার উপর হামলা? গ্রেপ্তার ৪ রাজনৈতিক কর্মী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি বাংলায় নতুন কিছু নয়। যারা শাসকদলের জায়গায় অবস্থান করে, তারা বারবার চেষ্টা করে, বিরোধীদল ভাঙাতে বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তৃনমূলের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। বিরোধীদল ভাঙ্গানোই তাদের কাছে প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দল অন্তপ্রাণ অনেকেই নীতি আদর্শের জন্য শাসকের চাপ থাকা সত্ত্বেও দল ছাড়ছেন না। কিন্তু এবার উল্টো ঘটনা কি ঘটল বাংলায়?

যেখানে বিজেপিতে যোগ না দেওয়ার জন্যই এবার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে ময়নাগুড়ি ব্লকের ভোটপট্টি এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূল নেতা শিবশঙ্কর দত্তের ওপর হামলা হয়। যেখানে তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে এই ঘটনার পরেই বৃহস্পতিবার নয়জন বিজেপি নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হঠাৎ করে কেন তৃনমূল নেতার ওপর এই হামলা করা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী রতন সরকার বলেন, “বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের নেতা শিব সংকর দত্তকে একা পেয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দেহরক্ষীর তৎপরতায় শিবশংকর বাবু প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দিন আমি নয়জন বিজেপি কর্মীর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা চাইছি ওদের কঠোর শাস্তি হোক।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে তিনি বিজেপি দলে না যাওয়ার কারণেই বিজেপি তার ওপর এই হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন আক্রান্ত তৃনমূল নেতা তথা ময়নাগুড়ি 2 ব্লকের সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত। তিনি বলেন, “কেন ওরা হামলা করল, বুঝতে পারছি না। রাতের অন্ধকারে এভাবে কাপুরুষের মত হামলা করেছে। ওরা যদি বলে থাকে আমাদের দলে কোন্দলের জন্য এমনটা হয়েছে, তবে বলব, ওরা না জেনে উল্টোপাল্টা বলছে। বিজেপি নেতারা ভেবেছিলেন, আমাকে সভাপতি করা হবে না। আমি হয়ত বিজেপিতে যাব। আর এতে ওদের শক্তি বৃদ্ধি হবে। কিন্তু ওদের মোহভঙ্গ হওয়ায় এখন এসব বলে বেড়াচ্ছে। আমি আশাবাদী, যাদের নামে অভিযোগ হয়েছে, তারা শাস্তি পাবে।”

তাহলে কি আক্রান্ত তৃণমূল নেতারা অভিযোগ সত্যি? তৃণমূলের এই নেতাকে দলে টানতেই তারা সেই তৃণমূলের নেতার উপর হামলা করেছে? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সম্পাদক চঞ্চল সরকার বলেন, “বুধবার তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ব্লক সভাপতি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে বিরোধ হয়েছে‌। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এটা ওদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আমাদের কর্মীদের এখন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ওরা যতই মিথ্যা মামলা দিক। আমরা 2021 এ আসছি। মানুষ তখন ওদের জবাব দেবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দলবদলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, চাপানউতোর কোনটাই কম হয়নি বাংলায়। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই দলবদলের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। এবার যেভাবে তৃণমূল নেতার ওপর হামলার পর বিজেপিতে না যাওয়ার জন্যই তাদের উপরে এই ধরনের হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করল তৃণমূল, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই চাপে পড়ল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, প্রকৃত পুলিশি তদন্তে অভিযুক্ত হিসেবে কাদের নাম উঠে আসে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!