এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল বিধায়কের বংশ থাকতে পারবে না এলাকায়! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!

বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল বিধায়কের বংশ থাকতে পারবে না এলাকায়! বিস্ফোরক হেভিওয়েট বিজেপি নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যে অত্যন্ত জমজমাট হতে চলেছে, তা বলাই যায়। একদিকে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টি, এই দুই রাজনৈতিক দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কে শেষ হাসি হাসে, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। এবার বিজেপি ক্ষমতায় এলে তৃণমূল বিধায়কের কোনো বংশ এলাকায় থাকতে পারবেন না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তায় হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে সিতাই বিধানসভা এলাকার কালিরহাট এলাকায় ছক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় আটকে বন্দুকের বাট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। আর এর পরেই স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা পেশ করেন। যেখানে তিনি বলেন, “সিতাইয়ের বিধায়ক নিজেকে কি প্রমাণ করতে চাইছেন! তিনি বুঝে গিয়েছেন, সিতাইয়ের মানুষ ওনাকে চায় না। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভের পর রাজ্যের কোনো বিধায়ক বাড়ি ছাড়া হয়নি। এই বিধায়ক বাড়ি ছেড়ে তিন মাস পালিয়েছিলেন। আমি প্রশান্ত বর্মন বলছি, সিতাইয়ের জনগণ জগদীশ বসুনিয়াকে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি। 2021 এর নির্বাচনের পর বিজেপি যখন ক্ষমতায় আসবে, তখন জগদীশ বসুনিয়ার কোন বংশ বা তৃণমূলের যে সমস্ত দুষ্কৃতী বাহিনী এখন মস্তানি করছেন, কেউ সিতাইয়ে থাকতে পারবেন না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর বিজেপি নেতার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সিতাই বিধানসভা এলাকায়। ক্ষমতায় আসার আগেই যদি বিজেপি নেতাদের মুখ থেকে এরকম হুমকির সুর শোনা যায়, তাহলে ক্ষমতায় আসলে তারা বদলা নিতে শুরু করবে বলে দাবি করছেন সমালোচক মহলের একাংশ। কেন এইভাবে একজন জনপ্রতিনিধিকে হুমকি দেওয়া হল? যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রায়শই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলে, সেই বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসার আগেই এই ভাবে বিধায়ককে দেখে নেওয়ার কথা বলে, তাহলে মানুষ তাদের উপর কিভাবে ভরসা রাখবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, “কি বলেছে তা জানি না। যিনি বলেছেন, তিনিই ভাল বলতে পারবেন। তাছাড়া সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়কের কাজকর্মে এলাকার মানুষ বীতশ্রদ্ধ। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি।”

এদিকে বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মনের ভিডিও বার্তার এহেন হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। তিনি বলেন, “হুমকি দেওয়ায় ওর বিরুদ্ধে সাইবার সেলে অভিযোগ জানিয়েছি। আসলে ওর কোনো গুরুত্ব না থাকায় এভাবে হুমকি দিয়ে প্রচারে আসতে চাইছে। সিতাইয়ে বিজেপির কোনো সংগঠন নেই। তাই হুমকি দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ওরা সকলকে দলে টানতে চাইছে। প্রচুর লোক ভুল বুঝে বিজেপিতে গিয়েছিল। তারা আবার আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও অনেকে যোগ দেবেন।”

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, এভাবেই যদি রাজনৈতিক আক্রমণ করতে গিয়ে নেতারা একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন, তাহলে সাধারণ মানুষ কিভাবে নিরাপদে থাকবেন? নেতারাই যখন একে অপরের বিরুদ্ধে বদলার সুর শোনাচ্ছেন, তখন যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, মানুষের নিরাপত্তা ধুলুণ্ঠিত হবার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন বিজেপি নেতার তৃণমূল বিধায়কের উদ্দেশ্যে হুমকির মন্তব্য গোটা পরিস্থিতিকে কোথায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!