এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়িয়ে তৃণমূলকে ভেঙে তছনছ করার সবুজ সংকেত মুকুলকে? টার্গেট লিস্টে কারা?

বিজেপিতে গুরুত্ব বাড়িয়ে তৃণমূলকে ভেঙে তছনছ করার সবুজ সংকেত মুকুলকে? টার্গেট লিস্টে কারা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার কি আবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুরনো খেলা খেলতে শুরু করবেন মুকুল রায়? একসময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর নানা দল থেকে হেভিওয়েট নেতা, কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে বিজেপিকে উপহার দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় 19 টি আসন দখল করেছে। তবে এরপর থেকেই বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমশ কোণঠাসা হতে শুরু করেছিলেন মুকুল রায়। তাকে তেমন ভাবে কোনো পদ না দেওয়াতে তিনি কাজ করতে পারছিলেন না।

কিন্তু সম্প্রতি তাকে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি করা হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দিতে তৃণমূলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এই বড়সড় জায়গা দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অর্থাৎ মুকুল রায়ের হাত ধরেই এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলকে যাতে ভাঙ্গানো যায়, তার জন্য তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হল। বিশেষ সূত্র মারফত খবর, এবার আবারও তৃণমূল ভাঙ্গার কাজ শুরু করে দিতে পারেন মুকুল রায়। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির চাণক্যের টার্গেট লিস্টে কারা কারা রয়েছে? কারা বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই মুকুল রায়ের হাত ধরে নাম লেখাবেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে?

বস্তুত, লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে অর্জুন সিং, অনুপম হাজরা থেকে শুরু করে শঙ্কুদেব পণ্ডার মত হেভিওয়েট নেতাদের বিজেপিতে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন মুকুল রায়। দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতির পদ পাওয়ার পর তার হাত ধরে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকায় হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যোগদান করতে পারেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর তিনি যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে গোটা রাজ্যে তৃণমূল ধরাশায়ী হয়ে পড়বে। আর তৃণমূলকে ভেঙে দেওয়ার এই মোক্ষম কাজ যে একমাত্র মুকুল রায় করতে পারেন তা ভালোই জানেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই দায়িত্ব দেওয়ার পর এবার সেই কাজেই সবথেকে বেশি নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মুকুল রায়কে বলে খবর।

কিন্তু তৃণমূল যদি ভাঙতে শুরু করে এবং সেই কাজ যদি করেন মুকুল রায়, তাহলে শাসক দলের পক্ষে চাপ যে ক্রমশ বাড়বে, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূলের অনেক শীর্ষ নেতাও। কিভাবে তারা এই পরিস্থিতি সামাল দেবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “আমাদের দলে বিশ্বাসঘাতকদের জায়গা নেই‌। তারা যত দ্রুত চলে যান, তত দলের পক্ষে মঙ্গল।” তাহলে কি দায়িত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে এবার খেলা ঘুরিয়ে দিতে শুরু করলেন মুকুল রায়?

এদিন এই প্রসঙ্গে মুকুলবাবু বলেন, “বিজেপির মত সর্বভারতীয় দলে আমার মত একজন শক্তি বৃদ্ধি হওয়া, না-হওয়ার আলোচনা অবান্তর। আমি যা ছিলাম, তাই আছি। কিছুই বৃদ্ধি হয়নি।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “মুকুলদার শক্তি বাড়ল কিনা, সেটা ওনার কাছেই জেনে নিন। আমরা সংঘের লোক। যখন যে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটাই পালন করি।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

মনে করা হচ্ছে, তিনি পৃথক মঞ্চ গঠন করতে পারেন। আর যদি তিনি পৃথক মঞ্চ গঠন করেন, তাহলে নির্দিষ্টসংখ্যক আসনের দাবি নিয়ে তিনি বিজেপির দরবারে যেতে পারেন। আর তাতে যদি বিজেপি রাজি হয়ে যায়, তাহলেই কেল্লাফতে। স্বভাবতই এই সমীকরণ যদি বঙ্গ রাজনীতিতে আসতে শুরু করে, তাহলে আগামী দিনে ব্যাপক চাপে পড়বে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের কোনো হেভিওয়েট নেতাকে ভাঙিয়ে আনতে মুকুল রায় যে প্রধান ভূমিকা পালন করবেন, তা বলাই যায়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তৃণমূলের টার্গেট লিস্ট ধরে ধরে তাদের ভাঙিয়ে আনতে মুকুল রায় কতটা সচেষ্ট হন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!