এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি ভাঙাতে মুকুলের তৎপরতা, “গরু-ছাগল” বলে কটাক্ষ দিলীপের!

বিজেপি ভাঙাতে মুকুলের তৎপরতা, “গরু-ছাগল” বলে কটাক্ষ দিলীপের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দিল্লিতে বিজেপিতে যোগদান করার পর রাজ্যে বিজেপির কার্যালয়ে প্রথম পা রেখে দিলীপ ঘোষকে নিজের “ক্যাপ্টেন” বলে দাবি করেছিলেন মুকুল রায়। তবে দিলীপ ঘোষের ক্যাপটেনশিপে যে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করতেন না, ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। প্রায় চার বছরের কাছাকাছি সময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে থাকার পর আর গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ঘর করতে পারলেন না মুকুল রায়।

গত শুক্রবারে নিজের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন তিনি। আর মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লেখানোর সাথে সাথেই বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠতে শুরু করেছে। একের পর এক নেতা নেত্রীরা বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন। বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিজেপির অন্দেরে যে বিদ্রোহ মাথা চাড়া দিয়েছিল, মুকুল রায়ের দলত্যাগের তা যেন আরও দ্বিগুন হয়ে ফুটে উঠতে শুরু করেছে।

অনেকে বলছেন, মুকুল রায়ের বিজেপি ত্যাগ করার পেছনে প্রধান কারণ দিলীপ ঘোষ। তাকে ঠিকমত কাজ করতে দেননি তিনি। আর সেই কারণেই দলে কোণঠাসা হয়ে যাওয়ার কারণে অবশেষে নিজের পুরনো দলে ফেরা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না মুকুলবাবুর। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মুকুল রায় বঙ্গ রাজনীতিতে পরিচিত চাণক্য বলে। এক্ষেত্রে দল ভাঙাতে এবং অন্য দল থেকে নেতা-মন্ত্রী জনপ্রতিনিধি আনতে তার জুড়ি মেলা ভার।

তাই তো তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর তার হাত ধরে তৃণমূলের ব্যাপক ভাঙ্গন সামনে এসেছিল। আর সেই মুকুল রায় যখন আবার তার পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এসেছেন, তখন যে তিনি আবার তার পুরনো খেলা শুরু করবেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত। ইতিমধ্যেই বিজেপির একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদের কাছে ফোন দিয়েছে মুকুল রায়ের। খুব দ্রুত গেরুয়া শিবিরে ব্যাপক ভাঙ্গন ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তার মাঝেই সাংসদ এবং বিধায়কদের অন্য দলে যোগদানের আশঙ্কা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,  তৃণমূল কংগ্রেসে মুকুল রায় যোগদান করার পর থেকে তার নিজের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ থেকে শুরু করে দক্ষিণবঙ্গ বিজেপির দশ জন বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের এক সাংসদকে ফোন করেছেন মুকুল রায়। আর সেই খবর পৌঁছে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে। যে মুকুল রায় একসময় তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে এসে তৃণমূলকে কার্যত ধুলিস্যাৎ করে দিয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় যদি আবার দল ভাঙার খেলা খেলেন, তাহলে তাকে কিভাবে আটকাবে ভারতীয় জনতা পার্টি, এখন তা নিয়ে রাজ্যস্তরের নেতাদের মধ্যে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে।

তবে এই বিষয় নিয়ে কার্যত চিন্তিত নন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক্ষেত্রে মুকুল রায়কে আক্রমণ করার পাশাপাশি নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে যারা অন্য দলে যোগদান করবেন বলে মনস্থির করেছেন, তাদেরকেও কার্যত আক্রমণ করলেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিধায়করা তো গরু ছাগল নয় যে, বেঁধে রাখব। আমরা নিশ্চিত, যারা আসল বিজেপি, তারা কেউ বিজেপি ছাড়বে না। আর যারা আয়ারাম, গয়ারাম তাদের নিয়ে কোনো ভাবনা আমাদের নেই।”

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিলীপ ঘোষ ভালোই বুঝতে পারছেন, তার দলের বেশ কিছু জনপ্রতিনিধি এবার তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লেখাতে পারেন। আর সেই কারণে আগেভাগেই “বিধায়ক এবং সাংসদরা গরু ছাগল নয়” বলে পরোক্ষে সেই সমস্ত অন্য দলে পা বাড়ানো জনপ্রতিনিধিদের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। অনেকে আবার বলছেন, দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করে মুকুল রায় এবং তৃণমূলের হাতে বাড়তি হাতিয়ার তুলে দিলেন।

এক্ষেত্রে মুকুলবাবু বিজেপির চেনা জনপ্রতিনিধিদের ফোন করে “বিজেপিতে কোনো সম্মান নেই” বলে দিলীপ ঘোষের এই “গরু-ছাগল” বলা মন্তব্যকে তুলে ধরতে পারেন। বিদ্রোহী করে দিতে পারেন বিজেপির অনেক জনপ্রতিনিধিকে। ফলস্বরুপ তারা যোগ দিতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল হোক বা বিজেপি, দল ভাঙানোর কারিগর বলে পরিচিত মুকুল রায়কে নিয়ে এখন স্বস্তি ঘাসফুলে এবং অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!