এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > বিজেপিকে আটকাতে ঘুরে দাঁড়াক বাম-কং মনেপ্রাণে চাইছে তৃণমূল? তাই কি বনধ বিরোধিতা নেই রাজ্যে?

বিজেপিকে আটকাতে ঘুরে দাঁড়াক বাম-কং মনেপ্রাণে চাইছে তৃণমূল? তাই কি বনধ বিরোধিতা নেই রাজ্যে?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন সময়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে নানা বনধ ডাকা হয়েছে। কিন্তু সেই বনধ ব্যর্থ করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাস্তায় নেমে রাজ্যকে সচল রাখার নানা পদ্ধতি অবলম্বন করতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিটি কর্মচারী যাতে অফিসে আসেন এবং গোটা রাজ্য সচল থাকে, তার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

কিন্তু এবার কেন্দ্রের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বনধ ডাকা হলেও সেভাবে সেই বনধকে ব্যর্থ করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এখন রাজ্যের প্রধান ফ্যাক্টর ভারতীয় জনতা পার্টি। তাই সেই বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলার বাম এবং কংগ্রেস বনধ ডাকার উদ্যোগ নেওয়ায় তৃণমূল তাকে হালকাভাবেই নিয়েছে।

অর্থাৎ মুখে তৃণমূল কংগ্রেস বনধ ব্যর্থ করার কথা জানিয়ে দিলেও, এই বাম এবং কংগ্রেসের বনধকে ইস্যু ভিত্তিকভাবে সমর্থন করার কথা জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, অতীতে রাজ্যে বন্ধ ডাকা হলে যেভাবে তার বিরোধিতা করতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে, এবার সেই অতি মাত্রায় বিরোধিতা করতে দেখা যায়নি রাজ্যের শাসক দলকে।

যার ফলে একাংশ বলছেন, হয়ত বা বিজেপিকে আটকানোর জন্য বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ডাকা বনধকে সেভাবে ব্যর্থ করতে দেখা যাচ্ছে না রাজ্যের শাসক দলকে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বিজেপিকে আটকানোই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। তাই বাম এবং কংগ্রেসকে কিছুটা মাইলেজ পেজে দিতেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে সেভাবে এই বনধের বিরোধিতা করা হচ্ছে না বলেই দাবি করছে বিজেপির একাংশ।

এদিন কোচবিহার জেলায় এই বনধের পরিপেক্ষিতে সেভাবে বিরোধিতা করে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি তৃণমূল কংগ্রেসকে। একাংশ বলছেন, বিরোধীদের তরফ থেকে ডাকা অতীতের যেকোন বনধে তৃণমূল রাস্তায় নামত। কিন্তু এবার তা ব্যর্থ করতে বা সেইভাবে এই বনধের বিরোধিতা করতে তাদের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। কেন এই রকম উদ্যোগ নিল তৃণমূল কংগ্রেস? তাহলে কি বিজেপিকে কুপোকাত করতে বাম এবং কংগ্রেসের ডাকে সফল করানোর চেষ্টা করল তারা?

এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বনধের ইস্যুগুলোকে আমরা সমর্থন করি। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ সভা, সমাবেশ চলবে। কিন্তু বনধ সমর্থন করি না। তাতে মানুষের ক্ষতি হয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “আমরা জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সবার কাছে আবেদন জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে অতীতে যে কোনো বনধের তৃণমূল বিরোধিতা করলেও, এবার তারা সেভাবে এই বনধকে আটকানোর জন্য রাস্তায় না নামায় তাদের পাল্টা কটাক্ষ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “মানুষ বনধের বিরুদ্ধে। কোনো অঙ্কেই আর তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসের লাভ হবে না।” অর্থ্যাৎ বিজেপির কথা স্পষ্ট যে, বাম এবং কংগ্রেসের ডাকা বনধকে পেছন থেকে সহযোগিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর তাই তারা এবার সেই বনধকে ব্যর্থ করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আর এখানেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত লোকসভায় বিজেপির উত্থান ঘটেছে রাজ্যে। আর তারপর থেকেই ক্রমশ চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। স্বাভাবিকভাবেই লোকসভা নির্বাচনের পরবর্তী কালে বামেদের ভোট বিজেপির দিকে যাওয়ার কারণে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি সিপিএমের উদ্দেশ্যে তিনি বার্তা দিয়েছেন, যাতে তারা নিজেদের ভোটব্যাংক রক্ষা করার চেষ্টা করে। আর তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কার্যত বাম এবং কংগ্রেসের পালে হাওয়া দিয়ে কিছুটা হলেও বনধ ব্যর্থ করতে নরম মনোভাব পোষণ করল রাজ্যের শাসক দল বলে দাবি বিশ্লেষকদের।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!