এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির ক্রমাগত চাপের কাছে কি নতি স্বীকার করবেন মুকুল রায়? ছাড়বেন কি বিধায়ক পদ?

বিজেপির ক্রমাগত চাপের কাছে কি নতি স্বীকার করবেন মুকুল রায়? ছাড়বেন কি বিধায়ক পদ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত শুক্রবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেছেন মুকুল রায়। কিন্তু খাতায়-কলমে এখনো বিজেপির বিধায়ক হয়ে রয়ে গিয়েছেন তিনি। বিজেপির বিধায়ক পদ ছেড়ে দেননি তিনি। তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের একাধিকবার দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে তৃণমূলের উপর বড়সড়ো রাজনৈতিক চাপ তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে বিজেপি। তবে, বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে ইচ্ছুক নন মুকুল রায়। বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতেও ইচ্ছুক তিনি।

আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, মুকুল রায় হলেন একজন সিনিয়র নেতা। তাঁকে বিশ্বাস করে, তাঁর ওপর আস্থা রেখে ভোট দিয়েছিলেন মানুষ। সেজন্য তার উদাহরণ প্রস্তুত করা উচিত। যখন তিনি দল ছেড়ে দিয়েছেন, তখন সদস্যপদ ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল। দলত্যাগ বিরোধী আইন ভারতে আছে। যা সকলের জন্য।

কিন্তু বিধানসভায় যখন দলত্যাগ হয়, তখন স্পিকারের গুরুত্ব অনেকটা থাকে। তাঁর ইচ্ছার ওপর অনেকটা নির্ভর করে। একটা দলের প্রতীকে দাঁড়িয়ে বহু মানুষের সমর্থন নিয়ে জেতার পর, সেই দল ছেড়ে চলে যাওয়া ঠিক নয়। সে জন্যই এই আইন পাস করা হয়েছে। আগামী দিনে এই আইনের আরো ব্যবহার হবে। অন্য রাজ্যে এরকম বহু ঘটনা ঘটেছে। আদালতের রায়ে সদস্যপদ চলে গেছে অনেকের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে, তৃণমূল সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, রাজনৈতিক চাপ থাকলেও এখনই বিধায়ক পদ ছাড়বেন না মুকুল রায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর বিধায়ক হিসেবে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। আবার বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ পদও পেতে পারেন তিনি। বিধানসভার পাবলিক একাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করার সম্ভাবনা আছে তাঁকে। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন আনতে পারে বিজেপি। যদিও চূড়ান্ত ক্ষমতা আছে বিধানসভার স্পিকারের ওপর। তিনি যদি পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তবে কোন সমস্যা হবে না মুকুল রায়ের। অনেকে মনে করছেন, তৃণমূল এ বিষয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে।

তবে, একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানাচ্ছেন যে, দল ছেড়ে দেবার পরও যদি বিধায়ক পথ আগলে রাখেন মুকুল রায়, তবে নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। এ প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতার বক্তব্য, বিজেপির মধ্যে নীতি-নৈতিকতার কোন ঠিক নেই। তাহলে তৃণমূল কেন নীতি দেখাতে যাবে? তবে, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, তিনি হলেন বিরোধী দলনেতা। দলত্যাগ বিরোধী আইন তিনি কার্যকর করেই দেখাবেন। তাই এক্ষেত্রে বিজেপি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে? সেদিকে দৃষ্টি রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!