এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির শক্তিপ্রদর্শনের পর ঝাড়গ্রাম থেকে মমতা সোজা নবান্নে, ফিরহাদ তকমা দিলেন সন্ত্রাসবাদী

বিজেপির শক্তিপ্রদর্শনের পর ঝাড়গ্রাম থেকে মমতা সোজা নবান্নে, ফিরহাদ তকমা দিলেন সন্ত্রাসবাদী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির যুব মোর্চার নবান্ন অভিযান নিয়ে পরিকল্পনা গেরুয়া শিবিরের আজকের নয়, দীর্ঘদিনের। প্রশাসনের অনুমতি না মেলা সত্বেও গেরুয়া শিবির থেকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা পথে নামবে, নবান্ন অভিযান সফল করবে। সুতরাং গন্ডগোলের যে আশঙ্কা ছিলই, সে কথা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সময় ঝাড়গ্রামে ছিলেন প্রশাসনিক বৈঠকের জন্য। তড়িঘড়ি বৈঠক শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় এসে প্রথমেই নবান্নে ছুটে যান।

মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই তিনি পৌঁছে যান ভবানী ভবনে, ডিজি বীরেন্দ্র সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। অন্যদিকে নবান্ন অভিযান সফল করতে বিজেপি মোর্চা বিভিন্ন দিক থেকে নবান্ন অভিযান শুরু করে। কয়েক হাজার মানুষের সহাবস্থান দেখা দেয় রাস্তায় করোনাবিধি শিকেয় তুলে। অন্যদিকে পুলিশও পিছিয়ে থাকার নয়। প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে এই মিছিল আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে নবান্নের দিকে আসছিল গেরুয়া শিবিরের যে মিছিল, তা থেকে মিলেছে অস্ত্র।

সুতরাং খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসন আশংকিত হয়ে ওঠে। অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযানের কারণেই গেরুয়া শিবিরের নেতাদের এদিন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সন্ত্রাসবাদি বলে আখ্যান দিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের সদরদপ্তর নবান্ন ঘিরে 144 ধারা ভাঙার খেলায় যেভাবে বিজেপি কর্মীরা মেতে উঠেছিলেন, তাতে পুলিশের বাধা পেয়ে তারা পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করে। পুলিশের ওপর কাঁচের বোতল থেকে শুরু করে ভাঙা ইঁটের টুকরো, অথবা হাতের সামনে যা পাওয়া গেছে তাই দিয়ে আক্রমণ শুরু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি পুলিশ বাধা দিতে শুরু করে জলকামানের ব্যবহার। আজকের ঘটনায় এক পুলিশকর্তা জখম হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। নবান্ন অভিযান ঘিরে যে তান্ডব দেখল আজ মহানগরসহ রাজ্যবাসী তা নিয়ে ফিরহাদ হাকিম তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, গেরুয়া শিবির অর্থাৎ বিজেপি রাজনৈতিক দলের বদলে সন্ত্রাসবাদীর মতন কাজ করছে। বাংলায় শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে। যদি তা না হত, তাহলে রাজনৈতিক দলের মিছিলে কখনো অস্ত্র পাওয়া যেতনা বলে দাবী তাঁর।

অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিন ভবানী ভবনে ডিজি বীরেন্দ্রর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেছেন, পরিস্থিতি কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তাই নিয়ে। একইভাবে রাজ্য বিজেপির মিছিলে কিভাবে অস্ত্র এলো, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভেঙে পড়ছে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির অভিযোগ জানিয়ে আসছে। এবার গেরুয়া শিবিরের মিছিলে অস্ত্র মেলায় সেই অভিযোগে কিন্তু বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। আপাতত রাজ্য রাজনীতিতে আজকের নবান্ন অভিযান যে বড় একটা দাগ কাটতে পেরেছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট মতামত জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। আজকের নবান্ন অভিযান এর জল কতদূর গড়ায় সেদিকেই এখন নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!