এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে নিজের ‘শক্তি’ দেখতে গিয়ে কি করোনার বিপদ বাড়িয়ে দিলেন মমতা? উঠল প্রশ্ন

বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতে নিজের ‘শক্তি’ দেখতে গিয়ে কি করোনার বিপদ বাড়িয়ে দিলেন মমতা? উঠল প্রশ্ন


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লকডাউন হয়ে গেলেও করোনা ভাইরাস এখনও পর্যন্ত বিলুপ্ত হয়নি। দিনকে দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর গলায় বারবার করে শোনা কাছে সচেতনতার কথা। যাতে সকলেই সামাজিক দূরত্ব পালন করেন, তার জন্য তিনি বারবার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু সেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী এবার নিজের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে বাকুড়ায় ব্যাপক জমায়েত করে সভা করলেন।

যা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, সরকারের প্রধান খুব ভালো মতই জানেন, করোনা ভাইরাসের বর্তমান অবস্থা। কিন্তু তা সত্ত্বেও এতদিন ধরে যিনি সতর্ক করতেই সকলকে, সেই তিনিই বেমালুম সবকিছু ভুলে গিয়ে নিজের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে বাঁকুড়ায় প্রচুর জমায়েত করে সভা করলেন। যা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক বলে দাবি করছে বিরোধীরা।

জানা গেছে, জেলা পুলিশের হিসেব অনুযায়ী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাঁকুড়ার সভায় প্রায় 1 লক্ষ 20 হাজার মানুষ ছিলেন। তবে প্রচুর মানুষের জমায়েত যে হয়েছিল, তা মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ থেকে বক্তব্যেই কার্যত পরিষ্কার। বাঁকুড়া সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেক গাড়ি এখনও রাস্তায় আটকে আছে। আমি আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে অনেক গাড়ি পাস করালাম। অনেকে হয়ত এখনও আসতে পারেননি। তারা এলে হয়ত স্থানের অভাব হবে। কয়েকশো বাস রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।”

আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, তিনি তো সব কিছুই জানেন। করোনা ভাইরাস যখন বাড়ছে, তিনি তো সকলকে সতর্ক করছেন যে, এখন যাতে কেউ জমায়েত না করে। সেক্ষেত্রে সেই তিনি কেন নিয়ম ভঙ্গ করলেন! কেন এত বেশি করে জমায়েত করে করোনা ভাইরাসকে কার্যত স্বাগত জানালেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বিরোধীদের দাবি, করোনা ভাইরাস বা লকডাউন চলার সময় বিরোধী দলের অনেক জনপ্রতিনিধিরা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই বিরোধীদের জনপ্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদিন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যখন দেড় লক্ষ লোক নিয়ে সভা করলেন, তখন সবকিছুতে ছাড় পাওয়া গেল! এটাই রাজ্যের বর্তমান অবস্থা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, সত্যিই তো তাই! তাহলে কি তৃনমূলের সভা হলে সেখানে করোনা প্রবেশ করবে না! আর বিরোধীদের কোনো জনপ্রতিনিধি একা মানুষকে সহযোগিতা করতে গেলে সেখানে করোনা বৃদ্ধি হবে! কেন শাসকদলের এই নিষ্ঠুর আচরণ! কেন পুলিশ প্রশাসন এইভাবে তৃণমূলের ক্ষেত্রে সভা করার ছাড় দিচ্ছে! অনেকে বলছেন, আসলে এটা মুখ্যমন্ত্রীর সভা।

পুলিশ প্রশাসনকে তার অনুমতি দিতেই হল। কিন্তু যে মুখ্যমন্ত্রী বারবার সকলকে সচেতন হওয়ার কথা বলছেন, সেই তিনিই বেমালুম ভুলে গিয়ে শুধুমাত্র নিজের দলের শক্তি দেখতে গিয়ে এত বড় সভা করে কি করোনা ভাইরাসকে স্বাগত জানালেন না! এখন তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও বা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে অন্য যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকলে সবাই এসেছিলেন। এদিকে

এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাতরা বলেন, “সবাইকে মাস্ক দেওয়া হয়েছিল। সভার মাঠে জায়গা অনেকটা। মানুষ দূরত্ব বিধি মেনে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগতাড়িত হয়ে কেউ কেউ হয়ত ভিড় করে ফেলেছিলেন।” তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভার পর যদি হু হু করে করোনা ভাইরাস বাঁকুড়াতে বৃদ্ধি পায়, তাহলে তার দায় কার! এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা জেলাজুড়ে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!