এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বহিস্কৃত নেতার স্বপক্ষে আন্দোলনে নামলেন বিজেপি কর্মীরা, ব্যাপক চাপে রাজ্য নেতৃত্ব!

বহিস্কৃত নেতার স্বপক্ষে আন্দোলনে নামলেন বিজেপি কর্মীরা, ব্যাপক চাপে রাজ্য নেতৃত্ব!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার পর থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। দলের ভেতরে এবং বাইরে একের পর এক নেতাদের বিস্ফোরক মন্তব্য থেকে শুরু করে বিক্ষোভে রীতিমতো জেরবার গেরুয়া শিবির। নিজেদের সাংগঠনিক এবং শৃঙ্খলা পরায়ন দল বলে প্রতিষ্ঠা করতে চায় ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু সেখানেও দলের একাংশের বিক্ষোভ থেকে শুরু করে প্রতিবাদ, এখন বিজেপির কাছে সামাল দেওয়া প্রধান চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি মালদহ জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জিত মিরকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে কেন সঞ্জিতবাবুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে ধরে তাকে অবিলম্বে দলে গ্রহণ করার দাবি তুলতে শুরু করেছেন বেশ কিছু বিজেপি নেতা কর্মীরা।

তবে দলের কাছে বৈঠক করে এই দাবি তোলা নয়, বরঞ্চ প্রকাশ্যে রীতিমতো রাস্তায় নেমে এই ব্যাপারে বিক্ষোভ শুরু করে দিলো ভারতীয় জনতা পার্টির নেতাকর্মীরা। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেখানে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে গেরুয়া শিবির, সেখানে দলের একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বহিস্কৃত নেতাকে ফেরানোর দাবিতে বিজেপি নেতা কর্মীদের বিক্ষোভ এখন যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিল মালদহ জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে। যার জেরে এই ঘটনায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা যেমন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল, ঠিক তেমনই গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, বুধবার মালদহের ফোয়ারা মোড়ে বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। যেখানে তারা দাবি তোলেন, জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে হঠাৎ করে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে সেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জিত মিশ্রকে দলে সক্রিয় করতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। আর দলের নেতাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত দলের একাংশ না মেনে যেভাবে বিক্ষোভের নেমে পড়ল, তাতে মালদহ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এখন যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে বলেই মনে করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপি যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি তথা এদিনের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিবশংকর পোদ্দার বলেন, “সঞ্জিত মিশ্র একসময় দলের সভাপতির পদ সামলেছেন। বিগত দিনে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এবারও তার প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে জেলা নেতৃত্বের একাংশ তাকে প্রার্থী হতে দেয়নি। অনেক দলীয় কর্মী র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন। আর নির্বাচন পেরিয়ে যেতেই দল বিরোধী কাজের জন্য তাকে বহিষ্কার করা হল, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ কার্যত উলতপুরান ঘটনা ঘটল মালদহে। যেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি, সেখানে বিজেপির একটি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতে দেখা গেল দলের নেতা কর্মীদের একাংশকে। যার ফলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা তো দূর অস্ত, আগে নিজেদের ঘর সামাল দেওয়ার দিকেই বিজেপির সবথেকে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত বলে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিচ্ছে সমালোচকরা। তবে তার জন্য যেভাবে বিজেপি নেতা কর্মীরা রাস্তায় নেমেছেন, তাতে তিনি কি বলবেন?

এদিন এই প্রসঙ্গে বহিস্কৃত সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “জীবন দিয়ে দল করেছি। আর তার প্রতিদান এভাবেই মিলছে। আমরা যারা আদি কর্মী, নির্বাচনে যারা কাজ করেছি, তাদেরকে দলে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। অথচ তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের প্রাধান্য দিচ্ছে দল। মানুষ এর জবাব দেবে।” তবে গোটা বিষয়ে কিছুটা হলেও অস্বস্তি তৈরি হয়েছে জেলা বিজেপির অন্দরে। এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল বলেন, “রাজ্য নেতৃত্ব বহিষ্কার করেছে। দলের জেলার পক্ষ থেকে তার কাছে বহিষ্কারের চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এখন কারা কি জন্য বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা বলতে পারব না। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তারা দলের কেউ নয়।” সব মিলিয়ে বহিস্কৃত নেতাকে ফেরানোর দাবিতে রাস্তায় নেমে বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ রীতিমতো চাপের মুখে ফেলে দিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তবে এই অস্বস্তি ঢাকতে রাজ্য বা জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!