এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র!” বিস্ফোরক ডেরেক

“বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে গণতন্ত্র!” বিস্ফোরক ডেরেক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –কৃষি বিলের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ। আর সেই প্রতিবাদ করতে গিয়েই ওয়েলে নেমে স্পিকারের সামনে রুল বুক ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের বিরুদ্ধে। স্বভাবতই এই গোটা ঘটনায় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ তুলতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞরা। যার জেরে গতকাল ডেরেক ও’ব্রায়েন সহ 8 জন সাংসদকে সাত দিনের জন্য রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু।

এদিকে আট সাংসদ রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পরেই প্রতিবাদে গর্জে উঠতে শুরু করে বিরোধীরা গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে রাজ্যসভার বিরোধী দলের সাংসদরা একত্রিত হয়ে রাতভর ধর্না দিতে শুরু করেন। গান গাইতে গাইতে রাতে গান্ধী মূর্তির সামনে প্রতিবাদের আওয়াজ সপ্তমে তোলেন তৃণমূলের দোলা সেন। হাততালি দিয়ে তাতে সাথ দেন তৃণমূলের আর এক রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। তবে রাজ্যসভার অধিবেশন কক্ষে রুল বুক ছিড়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটিয়ে তিনি যে খুব একটা ভালো কাজ করেননি, তার ব্যাপারে সহমত প্রায় প্রতিটি সংবিধান বিশেষজ্ঞরাই।

কিন্তু যাকে নিয়ে এত বিতর্ক, সেই ডেরেক ও’ব্রায়েন কি বলছেন, সেদিকে নজর ছিল সকলের। অবশেষে সাসপেন্ড হওয়ার পর মুখ খুললেন সেই ডেরেক ও’ব্রায়েন। যেখানে আগামী দিনে সংসদ বিরোধী শূন্য হয়ে যাবে বলে হুশিয়ারি দিতে দেখা গেল এই তৃণমূল নেতাকে।

সূত্রের খবর, এদিন একটি ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, “রাজ্যসভায় এখন কোনো বিরোধী দল নেই। আমরা সবাই অধিবেশন বয়কট করেছি। আজ থেকে লোকসভাতে কোনো বিরোধী থাকবে না বলে ফেলেছি। সংসদ বিরোধী শূন্য হয়ে যাবে। আর সরকার বলছে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু ক্ষমা চাওয়া দরকার, সেটা ভেবে দেখতে হবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে সংসদে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে বলে সরব হন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি বলেন, “করোনার অজুহাত দেখিয়ে সংসদে সংবাদমাধ্যমকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না‌। করোনার নামে গণতন্ত্র শেষ করছে সরকার। শুধুমাত্র একটি সরকারি চ্যানেল আর একটি বেসরকারি চ্যানেল। তাই আমরা ভিডিও তুলেছি। বেশ করেছি তুলেছি। প্রয়োজনে আবার তুলব। কেউ না তুললে তৃণমূল একাই তুলবে।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত হচ্ছে, এই অভিযোগ বারেবারে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। আর বিজেপির বিরুদ্ধে সেই অভিযোগকে তুলে ধরে বারবার রাস্তায় নামতে দেখা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার যেভাবে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যসভা উত্তাল করে দিলেন বেশকিছু সাংসদ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা সাসপেন্ড হলেন, তাতে বিরোধীদের তরফে আরও বেশি করে প্রতিবাদ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর এবার গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডেরেক ও’ব্রায়েন মুখ খুলে যেভাবে নিজের কেন্দ্র বিরোধিতার সুরকে আরও সপ্তমে পৌঁছে দিলেন, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার, বিজেপি বিরোধিতার প্রতিবাদের রাস্তা থেকে তৃণমূল এখনই সরে আসছে না। ভার্চুয়াল বৈঠকের বার্তায় তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!