এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > আসন্ন নির্বাচনে নতুন এই “অংক” ঘুম ওড়াতে চলেছে শাসক-বিরোধী সবারই? বাড়ছে জল্পনা

আসন্ন নির্বাচনে নতুন এই “অংক” ঘুম ওড়াতে চলেছে শাসক-বিরোধী সবারই? বাড়ছে জল্পনা

 

আর কিছুদিন পরেই পৌরসভার নির্বাচন। হাতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রহর গোনা শুরু করেছে যে, কোন ওয়ার্ডে কে দাঁড়াবেন! বস্তুত, শিলিগুড়ি পৌরসভার আসন সংখ্যা 47 টি। গত 2015 সালে পৌরসভা নির্বাচনের আগে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোর মধ্যে প্রায় 51 শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল। যেখানে এসসি, এসটি মহিলাদের জন্য নয়টি, শুধু মহিলাদের জন্য 14 টি এবং এসটি মহিলাদের জন্য একটি আসন সংরক্ষিত ছিল। তবে এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে কি হবে, কোন ওয়ার্ড কার জন্য সংরক্ষিত থাকবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই অংক কষতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, কোনো বার জোর, আবার কোনো বার বিজোড় সংখ্যা ধরে এই আসন সংরক্ষণের তালিকা করা হয়। তবে এবার ঠিক কি হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে এই আসন সংরক্ষণের ব্যাপারে যে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দলই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

এদিন এই প্রসঙ্গে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, “ভোট নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করলেও আসন সংরক্ষণ নিয়ে কি ভাবছে, সেই ব্যাপারে বলতে পারব না। নির্বাচন কমিশন খসরা তালিকা প্রকাশ করার পর, যা বলার বলব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী বলেন, “আসন সংরক্ষণের পদ্ধতি আছে। এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শহরের 35 টি আসন কব্জা করার টার্গেট নিয়ে ময়দানে নেমেছি। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোও চিহ্নিত করা হয়েছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু পৌরসভাতেই নয়, আসন সংরক্ষণ নিয়ে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাতেও প্রবল চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গেছে, 537 টি আসনের মধ্যে 50 শতাংশের বেশি আসন সংরক্ষিত হতে চলেছে। তবে এই ব্যাপার নিয়ে ধন্দে রয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল।

এদিন এই বিষয়ে বামফ্রন্ট পরিচালিত জেলা পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, “আইন অনুসারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন আসন সংরক্ষণ ও পুনর্বিন্যাসের কাজ করে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা খসড়া তালিকা প্রকাশ করে সকলের মতামত জানতে চান। তারপর সংশ্লিষ্ট তালিকাগুলো চূড়ান্ত করা হয়। কাজেই এই নিয়ে কে কি ভাবছে, সেই ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে ভোটযুদ্ধের জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে পরিষদের তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ বলেন, “পৌরসভার মত পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আমরা ময়দানে নেমে পড়েছি। আসন সংরক্ষণের পুনর্বিন্যাসে বলার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই এই নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করব না।” সব মিলিয়ে আসন্ন নির্বাচনে সংরক্ষণ অংক প্রবল চিন্তা বাড়াচ্ছে শিলিগুড়ির সমস্ত রাজনৈতিক দলকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!