এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সিবিআই-এর র‍্যাডারে এবার রাজীব কুমার ঘনিষ্ট ১ আইপিএস সহ পাঁচ প্রভাবশালী!

সিবিআই-এর র‍্যাডারে এবার রাজীব কুমার ঘনিষ্ট ১ আইপিএস সহ পাঁচ প্রভাবশালী!

যাদুকরের কোন এক মন্ত্রবলে যেন রাজীব কুমার উধাও হয়ে গেছেন শহরের বুক থেকে। সিবিআই শহরের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত তল্লাশি চালিয়ে তার খোঁজ পাচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, সারদা-কাণ্ডে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে সিবিআই তাঁকে জেরার জন্য সিবিআই দপ্তর ডেকে পাঠায়। রাজীব কুমার হাজিরা এড়িয়ে রীতিমত ভ্যানিশ হয়ে যান। সিবিআই তাঁর বাড়িতে গিয়েও তাঁর হদিস পায় না। অথচ মেঘনাদের মতন আড়াল থেকেই সিবিআইয়ের কাছে রাজীব কুমারের ইমেইল এসে পৌঁছাচ্ছে, কখনো আদালতে জামিনের আবেদন চেয়ে ওকালতনামায় রাজীব কুমারের সাইন দেখা যাচ্ছে। তাহলে রাজীব কুমার কোথায় ? কোথায় গেলে সিবিআই তাঁর হদিস পাবেন ? তার উত্তর এখনো মেলেনি।

ইতিমধ্যে রাজীব কুমারের হদিস জানতে সিবিআই তাঁর স্ত্রী সঞ্চিতা কুমারকে দফায় দফায় জেরা করেছে। এবার সারদা কাণ্ডে তদন্তের স্বার্থে সিবিআই ডিসি-পোর্ট ওয়াকার রাজাকে হাজিরার নোটিশ পাঠাল। সিবিআই সূত্রের খবর, ওয়াকার রাজা সিআইডি স্পেশাল সুপার পদে থাকার সময় সিটের সাথে শুল্ক দফতরের একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজীব কুমার উপস্থিত ছিলেন কিনা এবং ওই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখনো পর্যন্ত আছে কিনা সে বিষয়ে জানতে তাঁর কাছে ওই সংক্রান্ত একটি ফাইল চাওয়া হয়েছে।

আইপিএস মহল থেকে জানা গেছে, সিবিআই অফিসার যে বৈঠকের কথা বলছেন, সেই সময় ওয়াকার রাজা সিআইডি বিভাগে একটি শীর্ষ পদে বহাল ছিলেন এবং সিবিআই উল্লেখিত উক্ত বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। ওয়াকার রাজার থেকে যে ফাইলটির দাবি সিবিআই জানিয়েছে, সিবিআই থেকে জানা গেছে ওই ফাইলে সারদা সম্পর্কিত বেশ কিছু নথিপত্র এখনো থাকতে পারে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এই মুহুর্তে ডিসি-পোর্ট ওয়াকার রাজা অসুস্থতার কারণে ছুটিতে আছেন। এবং তিনি জানিয়েছেন, সিবিআই এর তরফ থেকে কোন নোটিশ বা চিঠি তিনি পাননি। উপরন্তু সিবিআই যে বৈঠকের উল্লেখ করছে সেই বৈঠকের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।

রাজীব কুমার এর হদিশ পেতে সিবিআই শনিবার রাজিব কুমারের ট্রাভেল এজেন্ট ও শহরের 4 ব্যবসায়ীকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করে সিবিআই দপ্তরে। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী রাজীব কুমারকে বিভিন্ন সময় সাহায্য করেছেন। সিবিআই-এর সন্দেহ এই ব্যবসায়ীরাই রাজীব কুমার কে যেমন অর্থের জোগান দিচ্ছেন, তেমনই তাকে গা ঢাকা দেবার ব্যবস্থাও করে দিচ্ছেন। সন্দেহ, রাজীব কুমার এর আইনজীবিদের তাঁরাই অর্থ সাহায্য করছেন। অন্যদিকে রাজীব কুমারের ট্রাভেল এজেন্ট কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজীব কুমার ইতিমধ্যে কোনো ট্রেন সফর বা বিমান সফরের কোনো টিকিট কেটেছেন কিনা। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার আরো একবার সিবিআই এর জেরার মুখোমুখি হতে পারেন সবাই।

রাজীব কুমারের এর হদিশ পেতে সিবিআই মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে দিল্লি থেকে 10 জন অফিসার কলকাতায় এসেছেন রাজীব কুমারের জন‍্য খানাতল্লাশি চালাতে। রাজীব কুমারকে নিয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে রাজ্য সরকার এখনো সেই অর্থে সিবিআইকে কোনরকম সাহায্য করেনি। নিয়মমাফিক কোন আইপিএস যদি ছুটিতে যায়, তাহলে সমস্ত তথ্য ডিজির কাছে থাকবে। এক্ষেত্রে রাজ্য ডিজি বীরেন্দ্রকে সিবিআই-এর তরফ থেকে চিঠি দিয়ে রাজীব কুমার এর সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁর তরফ থেকে কোনো রকম সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বিরোধীদের দাবি, রাজীব কুমারের হদিশ রাজ্য সরকার জানে। এবং তার জন্যই রাজ্য সরকার কোনরকম মুখ খুলছে না। তবে সিবিআই রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এবার সিবিআই এর পরবর্তী পদক্ষেপ এর দিকে তাকিয়ে আপাতত রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!