এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনের জন্য দুঃসংবাদ! ব্যবসা বন্ধের হাত ধরে ভেঙে পড়তে চলেছে চীনা অর্থনীতি

চীনের জন্য দুঃসংবাদ! ব্যবসা বন্ধের হাত ধরে ভেঙে পড়তে চলেছে চীনা অর্থনীতি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহের শুরু থেকেই চীন রীতিমত ব্রাত্য হতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক মহলে। এর ওপরে সম্প্রতি চীন যেভাবে উপমহাদেশ ভারতের দিকে আগ্রাসী মনোভাব ব্যক্ত করেছে, তা নিয়েও আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচনা হয়েছে চীনের বলে জানা গেছে। অন্যদিকে চীনকে ব্যাবসায়িক দিক থেকে কোণঠাসা করতে ভারতের পক্ষ থেকে চীনকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একইভাবে ভারতের সুর দেখা গিয়েছে আমেরিকার গলাতেও।

অর্থাৎ বিশ্বের দুটি এমন দেশ যেখানে চিন সবথেকে ভালো বাজার তৈরি করেছিল এই মুহূর্তে তারা চীনের প্রতি চরম অবিশ্বাস হেতু পিছিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। যা এই মুহূর্তে চীনের অর্থনৈতিক কাঠামোর জন্য অতি বড় দুঃসংবাদ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যে চীনা অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ একের পর এক চীনা ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক সংস্থাগুলি দেউলিয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। গত সপ্তাহেই চীনের হেবেই এবং শানজি প্রদেশের স্থানীয় ব্যাঙ্কগুলি থেকে গ্রাহকরা টাকা তুলে নিতে আসেন।

কিন্তু গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারেনা ব্যাঙ্কগুলি। যদিও বেজিং সরকার এবং দুই প্রদেশের স্থানীয় প্রশাসন পুরো ব্যাপারটি গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে বলে খবর। সরকারের পক্ষ থেকে আমানতকারীদের কাছে আবেদন করা হয়েছে, গুজবে কান না দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমানতকারীদের ভরসা জেতা যে এত সহজ নয় তা ইতিমধ্যে বুঝে গেছে বেজিং সরকার। কারণ শোনা যাচ্ছে, চীনা অর্থনীতি নিয়ে কোন প্রশ্ন তুললে সাধারণ নাগরিকদের হতে হচ্ছে গ্রেফতার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এবার চীনের প্রাদেশিক ব্যাঙ্কগুলি ছাড়াও নন ব্যাংকিং সেক্টর গুলিও ভেঙে পড়তে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বর্তমানে চীনের এই শ্যাডো ব্যাংকিং মিলিত ব্যবসার পরিমাণ তিন ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। অবশ্য চীন অর্থনৈতিক মহলের দাবি, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে চীনের প্রতি যে অবিশ্বাস জন্মেছে সবার, সব মিলিয়ে বর্তমান অবস্থা তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের আর্থিক ব্যবস্থার পতন বেশ কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে।

একদিকে যেমন চীনে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার গতি বেড়েছে, ঠিক অন্যদিকে চিনা ব্যাঙ্ক ও অন্যান্য আর্থিক সংস্থায় বেড়েছে ঋণ খেলাপি, নন পারফরমিং অ্যাসেট বা এনপিএ-র পরিমাণ। অন্যদিকে করোনা ভাইরাস মহামারীর পরে চীনের ওপর অবিশ্বাস বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক দেশেই চীনা পণ্য বর্জনের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে চীনা সংস্থার বৃহত্তম বাজার বলে পরিচিত ভারতে ইতিমধ্যে ব্যবসা গোটাতে হচ্ছে চীনকে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, গত বছর থেকেই চীন সরকার বহু প্রাদেশিক স্থানীয় ঋণদাতা সংস্থা এবং ব্যাংক অধিগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে।

তবে মনে করা হচ্ছে, গত কয়েক মাসে সবথেকে খারাপ সময় দেখেছে চিন। একে তো করোনা ভাইরাস মহামারী, তার ওপরে লকডাউন এবং সর্বোপরি চীনা পণ্য বয়কটের দাবি যেভাবে জোরালো হচ্ছে, তাতে চীনের সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি কোটি কোটি ডলারের বাজার হারিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যথারীতি এই সংস্থাগুলি আর কোনরকম সরকারের ঋণ পরিশোধ করতে পারবেনা বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। ফলস্বরূপ, অপরিশোধিত ঋণের পরিমাণ যে আরো বাড়বে চীন ব্যাংকিং সেক্টরে সে কথা বলাইবাহুল্য। অন্যদিকে চীনা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্ষেত্র যদি নিম্নগামী হয়, তাহলে কিন্তু সারা পৃথিবীতেই এর ধাক্কা লাগবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক ছবি খুব একটা ভালো নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। ভারতসহ অনেক দেশের অর্থনৈতিক আকাশে কালো মেঘ জমেছে বলে দাবী অর্থনৈতিক মহলের একাংশের। তবে সে দিক থেকে এতদিন পর্যন্ত চীনা অর্থনৈতিক ভিত্তি যথেষ্ট মজবুত বলেই ধরা হচ্ছিল। এক্ষেত্রে বেজিংয়ের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে বলে মনে করা হয়। সে ক্ষেত্রে বেজিংয়ের অর্থনৈতিক পতন যদি সত্যি হয়, তাহলে এই মুহূর্তে সবথেকে শক্তিশালী দেশ মনে করা চীন যে কয়েক কদম পিছিয়ে যাবে সে কথা নিঃসন্দেহে মেনে নেওয়া যায় বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!