ছবি বিক্রি থেকে ছেলেমেয়েদের চাকরি! CESC-তৃণমূলের ‘গোপন আঁতাত’ নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ! কলকাতা রাজ্য May 27, 2020 সম্প্রতি রাজ্যের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ভয়াবহ সাইক্লোন আমপান। যার ফলে রাস্তায় বিভিন্ন বড় বড় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত অনেক এলাকাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে জটিলতা। অনেক জায়গাতেই মানুষ বিদ্যুৎ এবং পানীয় জলের পরিষেবা না পেয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। আর এর ফলে চাপে পড়তে হচ্ছে কলকাতা পৌরসভাকে। তবে কলকাতার সিংহভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে সিইএসসি। এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ায় কলকাতা পৌরসভাকেই বেশি করে কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডে বসে এবার এই বিষয়ে সিইএসসিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বলেন, “এনাফ ইজ এনাফ। অনেক হয়েছে, অবিলম্বে যা করার করুন। লোকে আর কত সহ্য করবে! বিদ্যুতের পেমেন্টটা সরকার নেয় না, যারা নিচ্ছে তাদের দায়িত্ব।” এদিকে সিইএসসির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গাছ না কাটার জন্যই বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে এই বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, “কয়েকটি জায়গায় ওদের লাইন চালু থাকায় গাছ কাটা যায়নি। কোথায় কোথায় গাছ কাটতে হবে, সিইএসসির কাছে সেই তালিকা চাইছি।” আর মানুষের ঘরে যখন বিদ্যুৎ না আসায় প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছে, ঠিক তখনই কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে এইভাবে সিইএসসির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই বিষয়ে ফিরহাদ তাকিমকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এতদিন সিইএসসির সঙ্গে ভালোই লেনদেন হচ্ছিল। ছবি বিক্রি করা থেকে শুরু করে নিজেদের ছেলেমেয়েদের চাকরিও দেওয়া হয়েছে। এখন সমস্যা থেকে পালাতে সিইএসকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। আগে বড় বড় কথা বলার পর যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাবার রাজনীতি মমতা ব্যানার্জি প্রথম থেকে করে আসছেন। খুবই নিন্দনীয়। মুখ্যমন্ত্রীর চিরকাল স্টান্ট করার চেষ্টা করেন। মানুষ ক্ষেপে যাওয়ার পর এখন ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করছেন।” অর্থাৎ দিলীপবাবু একথা বলে ফিরহাদ হাকিমকে যেমন কটাক্ষ করলেন, ঠিক তেমনই বিদ্যুৎ পরিষেবা না আসায় এই দোষারোপের পালা বন্ধ হোক বলেও বোঝাতে চাইলেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সময়ে একে অপরকে দোষারোপ না করে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে সচল করতে নজর দেওয়া উচিত কলকাতা পৌরসভা এবং সিইএসসি কর্তৃপক্ষের। কিন্তু যেভাবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম গোটা ঘটনায় বিদ্যুৎ সংস্থাকে আক্রমণ করলেন, তাতে তারা কতটা কাজ করবেন, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। আর 2 সংস্থার মধ্যেকার এই দ্বৈরথের ফলে এখন মানুষের ঘরে কবে আলো জলে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -