লকডাউনের সুযোগে রমরমিয়ে চলছে চোলাই ব্যবসা! হচ্ছে হোম ডেলিভারিও! ঘুম উড়ছে প্রশাসনের! উত্তরবঙ্গ রাজ্য July 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -দিনে দিনে ক্রমবর্ধমান করোনার সংক্রমণকে লাগাম পরাতেই রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার। দেশে এখন চলছে আনলক- ২ পর্ব। তবে পশ্চিমবঙ্গে করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণকে রোধ করতে রাজ্যে প্রতি সপ্তাহে ২ দিন করে কঠোর লকডাউন ও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের ফলে বাজারে বেশ কিছু দ্রব্যের যোগানে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। আর এই অবস্থায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মদ্যপায়ী ও সুরাপ্রেমী মানুষদের অবাধে মদের যোগান দিচ্ছে কিছু ব্যবসায়ী, এমনি চাঞ্চল্যকর খবর উঠে এসেছে স্থানীয় সংবাদসূত্রে। প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় করোনার সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এই জেলার চারটি পৌরসভা সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের বেশ কিছু এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্ণিত করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এর সঙ্গেই তমলুক শহরে সপ্তাহে তিন করে সমস্ত বাজার, দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার অন্যান্য স্থানেও দোকানপাট, বাজার , হাট ইত্যাদির উপর চলছে করা নজরদারি। একারণে মদ্যপায়ীদের কাছে মদের যোগান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় তারা চলে কারবারিদের উপরে নির্ভর করতে শুরু করেছেন। আর চোলাই কারবারীরাও ঝোপ বুঝে কোপ মারতে শুরু করেছে। দেদার বিক্রি শুরু হয়েছে অবৈধ চোলাই মদের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেক ব্যবসায়ী আবার এজেন্ট নিয়োগ করে মদের হোম ডেলিভারিও শুরু করে দিয়েছে। লকডাউনের বিধি- নিষেধকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সমগ্র জেলা জুড়ে রমরমিয়ে শুরু হয় অবৈধ চোলাই মদের ব্যবসা। বিভিন্ন সূত্র মারফত মদের এই ব্যবসার কথা জানতে পেরে শেষ পর্যন্ত অভিযানে নামে মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন থানার পুলিশ । সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, পুলিসের পাশাপাশি এই অভিযানে নামে জেলার আবগারি দপ্তরও । পুলিস সুপার সুনীলকুমার যাদব মদের ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের উদেশ্যে সমগ্র জেলায় জোরদার পুলিশি অভিযানের নির্দেশ দেন। গত কয়েক দিনের অবিরাম পুলিশি অভিযানে ১৫ জনের বেশি অবৈধ মদ ব্যবসায়ীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে, সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত করতে পেরেছে প্রচুর চোলাই মদ ও চোলাই মদ নির্মাণ সামগ্রী। জেলার সর্বত্র পুলিশি অভিযান সফল হয়েছে বলে, পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ এমএম হাসান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, চোলাই মদের কারবারিদের বিরুদ্ধে জেলার নানা স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে, এই অভিযানে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদসূত্র মারফত জানা গেছে, গত ১৮ ই জুলাই পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার দক্ষিন হরকুলি গ্রামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ চোলাই সামগ্রী সহ গ্রেফতার করেছে। এদিনই আবার ময়না থানার ব্রজবল্লভপুর গ্রামে আরো এক চোলাই কারবারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এদিনে চোলাই কারবারে যুক্ত থাকার কারণে ময়না থানার হারদুয়াচক গ্রামের এক ব্যক্তিকে চোলাই মদ ও মদ নির্মাণ সামগ্রী সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিনেই আবার এগরা থানার পাঁচরোল গ্রামে ৬২ বছরে পৌঢ় এক চোলাই কারবাড়িকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, যার কাছে বেশ কিছু চলে মদ ও মদ নির্মাণ সামগ্রী পাওয়া গেছে। সূত্রে জানা গেছে, চোলাই মদ তৈরিতে বেশ হাত পাকিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। অন্যদিকে পটাশপুর থানার মোস্তাফাপুর সংলগ্ন মানপুর গ্রাম থেকে এক চোলাই কারবারীকে পুলিশ সামগ্রী সমেত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সুতাহাটা থানার উর্দ্ধবমাল এলাকার একজন কারিবারিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আবার কাঁথি পুরসভার পদ্মপুকুরিয়া এলাকা থেকে ২ জন অভিযুক্তকে প্রচুর সামগ্রী সমেত পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এভাবে অবৈধ চলে কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ তার অভিযান কায়েম রেখেছে। করোনার কারণে একদিকে যেমন রাজ্যজুড়ে চলছে মৃত্যুর মিছিল, তার উপরে যদি বিষাক্ত মদ পান করে কোন মানুষের মৃত্যু ঘটে, তাহলে চাঞ্চল্য ছড়াবে সারা রাজ্য জুড়ে। একারণেই পুলিশ চোলাই কারবারিদের বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত ধারণ করেছে। আপনার মতামত জানান -