এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে দু’বছর পর ঘরে ফিরছেন ঘরের ছেলে

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে দু’বছর পর ঘরে ফিরছেন ঘরের ছেলে

শেষ মেশ আদালতের নির্দেশে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ নিয়ে প্রায় দু’বছর পর কাকদ্বীপে নিজের বাড়িতে ফিরছেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো জোট প্রার্থী রফিকউদ্দিন মোল্লা। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জোট প্রার্থী রফিকউদ্দিন মোল্লা ৪১ শতাংশ ভোট পেলেও জিততে পারেননি। আর এর পরেই তাঁকে খুনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গত বিধানসভা ভোটের আগে কাকদ্বীপের নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা আবুজার মোল্লা যে খুন হন তার পেছনে নাকি হাত আছে রফিকউদ্দিন মোল্লা-র। শুধু রফিকউদ্দিনবাবুই নন সাথে আরো কয়েক জন সিপিআইএম ও কংগ্রেসের কয়েকজন নেতার নামেও অভিযোগ ওঠে। যদিও এই ঘটনায় রফিকউদ্দিনবাবুর দাবি, যে তিনি ওই ঘটনার সাথে যুক্ত নন। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন যে নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য তাঁকে অনবরত চাপ দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি তাতে নতিস্বীকার না করে তাঁকে এভাবে ফাঁসানো হয়েছে। নির্বাচন মেটার প্রায় মাসখানেক পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তিনি ৭৮ দিন জেল খাটার পর হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পেলেও বাড়ি ফিরতে পারেননি নানা আইনি জটিলতায়। এর পর ফের তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

সুপ্রিম কোর্ট জামিন বহাল রাখার পরে ফের তিনি হাইকোর্ট- এ যান তাঁর জামিনের শর্ত বাতিলের আর্জি জানিয়ে। সেই মামলার নিষ্পত্তি হয় গত ৮ জুন। আর এর পরেই সেই রায়ের কপি এদিন হাতে পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উৎসব পালনের জন্য শুক্রবার কাকদ্বীপ যাচ্ছেন রফিকউদ্দিনবাবু। কিন্তু বাড়ি ফিরলেও একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁর দল কংগ্রেসের উপর। তিনি জানান তাঁর এই দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের ফাঁকে তাঁর দল কংগ্রেসের তরফ থেকে তিনি কোনও সাহায্য পাননি। তাঁর দাবি জোট প্রার্থী হলেও তিনি তো আদতে কংগ্রেসের কর্মী। তবে সিপিএম তথা বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীর কাছ থেকে তিনি যে কদর পেয়েছেন তা স্বীকার করেছেন। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের কাছে গেলেও কোনো লাভ হয়নি বলে তাঁর দাবি। দলের তরফে যে তাঁর খোঁজখবর করা হয়নি সে কথা স্বীকার করেছেন কংগ্রেস পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন রফিকউদ্দিনবাবুর ব্যাপারে যে দলের জেলা নেতৃত্বকে যা যা করণীয়, তা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিন একরাশ কোভ নিয়ে জানান যে, ‘এদিন বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়েও কোনও সহানুভূতি না পাওয়ায় আমি মর্মাহত। তবে আমি রাজনীতি বা লড়াই কোনওটাই ছাড়ছি না। যে মিথ্যা খুনের মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে, তার থেকেও অব্যাহতি পাব বলে আমি আশাবাদী।’ যাই হোক শেষে যে তিনি তাঁর পরিবারের সাথে ঈদ পালন করতে পারছেন এতেই আপাতত খুশি তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!