প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এবার বড়সড় অস্বস্তিতে পড়ল কংগ্রেস‌। সূত্রের খবর, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন সহ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত তিনটা ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আলোড়ন তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। জানা গেছে, রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন, রাজীব গান্ধী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিরুদ্ধে এই তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে।

কিন্তু হঠাৎ করেই তদন্তপ্রক্রিয়া শুরু করা হল কেন? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের চিনা আর্থিক সহায়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে ইউপিএ জমানায় রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছিল। আর তখনই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, তৎকালীন সময়ে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের সভাপতির দায়িত্বে কে ছিলেন? জানা যায়, সেই সময় গোটা ব্যবস্থা সামলাচ্ছিলেন সোনিয়া গান্ধী।

স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয় নিয়ে স্বচ্ছতার ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আর সেই অভিযোগকে পাথেয় করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন সহ আরও দুই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হল‌। আর এই গোটা ঘটনায় এবার কংগ্রেস এবং গান্ধী পরিবার যে ব্যাপক চাপে পড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের চিনা আর্থিক অনুদান নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, “2006 সালে ফাউন্ডেশনের বার্ষিক তালিকায় দেখা যাচ্ছে, গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের দূতাবাস থেকে অনুদান নেওয়া হয়েছে। জানতে চাই, কেন তা গ্রহণ করা হল!” আর বিজেপি নেতারা যখন কংগ্রেসের সময়কার সেই ফাউন্ডেশনের সম্পর্কে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন সকলে।

জানা গেছে, এই তদন্ত কমিটির প্রধানের দায়িত্বে রয়েছে এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের স্পেশাল ডিটেক্টর। ফলে গোটা ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়া এখন কোন দিকে এগোয় এবং এর ফলে কংগ্রেসের অস্বস্তি কতটা বৃদ্ধি পায়, সেদিকেই নজর থাকবে বিশেষজ্ঞদের।