কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত মালদা! জমি বিবাদে পড়ছে মুড়ি-মুড়কির মত বোমা, চলল হাঁসুয়ার কোপ মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 6, 2020 ভয়াবহ দুর্যোগ এবং ভাইরাসকে নিয়ে যখন বিপর্যস্ত পরিস্থিতি রাজ্য, ঠিক তখনই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করল। যেখানে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন এক তৃণমূল কর্মী। আর ভয়াবহ এই ঘটনায় এখন রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদহের চাচল থানার চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জানিপুর গ্রামে। জানা গেছে, মৃত তৃণমূল কর্মী মুস্তাক শেখের সাথে বহুদিন আগেই 3 কাঠা জমি নিয়ে বিবাদ শুরু হয়েছিল হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি। দুই জনের মধ্যে গন্ডগোল মেটানোর জন্য গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভা হলেও, সমাধান হয়নি। পরবর্তীতে হাবিবুর রহমান বেশ কয়েকবার মুস্তাক শেখের সেই জমি দলবল নিয়ে দখল করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে যতদিন যায়, ততই দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চরমে উঠতে শুরু করে। আর বুধবার বিকেল থেকে সেই বিবাদ কার্যত রণক্ষেত্রের আকার নেয় বলে জানা গেছে। অভিযোগ, বুধবার রাত্রে মুস্তাক শেখকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে কোপানোর অভিযোগ ওঠে। আর সেই সময় সেই মুস্তাক শেখ পালাতে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে হাবিবুর রহমানের অনুগামীরা গুলি করে বলে অভিযোগ। এরপরই গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মুস্তাক শেখ। সেই সময় তীব্র বোমাবাজির অভিযোগও ওঠে স্থানীয় স্তরে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পরবর্তীতে তাকে চাচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আর এই ঘটনাতেই এখন রাজনৈতিক রঙ লেগে যাওয়ায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। মৃত তৃণমূল কর্মী মুস্তাক শেখের পরিবারের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মালদহ জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার খোলেন। তিনি বলেন, “আমাদের একজন সক্রিয় কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। মালদহ জেলায় কংগ্রেসের পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। আর যে কারণে যে কোনো ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেই আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।” যদিও বা তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক অলবিরুনি জুলকার লাইন। এদিন তিনি বলেন, “পারিবারিক বিবাদকেও তৃণমূল কংগ্রেস রাজনৈতিক রঙ চাপানোর চেষ্টা করছে। ওই দলে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে। সেই কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। মালদহে কংগ্রেস শক্তিশালী। সেই কারণে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিনিয়ত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে আসছে। প্রশাসন সঠিকভাবে তদন্ত করলে, সমস্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে।” সব মিলিয়ে এখন প্রশাসন দ্রুত প্রকৃত দোষীকে গ্রেপ্তার করুক, এটাই চাইছেন শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেক রাজনৈতিক দল। তবে গোটা পরিস্থিতি এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -