এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > করোনা আবহে প্রত্যন্ত গ্রামে আবার মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নতুন রূপে হাজির হচ্ছে চিটফান্ড!

করোনা আবহে প্রত্যন্ত গ্রামে আবার মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে নতুন রূপে হাজির হচ্ছে চিটফান্ড!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কয়েক বছর আগে চিটফান্ড সংস্থার রমরমা দেখা দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। চিটফান্ড সংস্থার দেখানো দেদার অর্থপ্রাপ্তির লোভে পড়ে, ও চিটফান্ড সংস্থার এজেন্টদের মনমুগ্ধকর কথায় বিশ্বাস করে, অনেকেই তাদের সম্বল জমা রাখেন চিটফান্ড সংস্থার কাছে। তারপর একসময় বন্ধ হতে শুরু করে একের পর এক চিটফান্ড কোম্পানি। চিটফান্ড কর্তাদের মধ্যে অনেকে গ্রেপ্তারও হন, কিন্তু চিটফান্ডের কাছে টাকা রেখে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া প্রতারিতরা কিন্তু তাদের টাকা ফেরত পাননি। এখনো মানুষের মন থেকে এই শোকাবহ স্মৃতি হারিয়ে যায়নি। কিন্তু এরমধ্যেই আবার প্রাদুর্ভাব ঘটছে নতুন করে চিটফান্ড কোম্পানির।

পুলিস সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি, রানীনগর সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় আবার গজিয়ে উঠছে চিটফান্ড সংস্থার অফিস। আবার তারা নানারকম লোভ দেখতে আরম্ভ করেছে। কখনো ৫ বছরে অর্থ দ্বিগুণ করে দেওয়া, কখনও বা লোভ দেখাচ্ছে ১৮ % সুদের। আর হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। প্রায় ৫ মাস ধরে চলছে তাদের এই কারবার।

মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গিতে একটি চিটফান্ড সংস্থা রীতিমতো তার ব্যবসা জাঁকিয়ে বসেছে। জলঙ্গিতে খুলেছে তাদের অফিসে। কোম্পানির মেম্বারশিপ নেয়ার নেওয়ার জন্য ফর্ম পর্যন্ত বিলি করছে তারা। নিজেদের নামের সঙ্গে ব্যাংকিং শব্দটি যুক্ত করে দিয়ে, কখনো ২০০ টাকা, বা কখনো হাজার টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত খুলে দিচ্ছে তারা। পুলিশ সূত্রের খবর মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমাতেও জাল বিছিয়েছে একাধিক চিটফান্ড সংস্থা।

পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্বে কোন চিটফান্ড সংস্থায় কাজ করা ব্যক্তিরাই নতুন করে এই প্রতারণা চক্র গড়ে তুলেছে। পুরনো অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তারা নতুন ব্যবসায় নেমেছে। জনৈক পুলিশ আধিকারিক এ সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, বেশ কিছু সংস্থা নানাভাবে মানুষের থেকে টাকা তুলছে। সাধারণত খেটে খাওয়া মানুষেরাই এই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আগে এগুলি শহরে অফিস খুলে, সেখান থেকে তাদের বিজ্ঞাপন প্রচার চালাতে। কিন্তু সম্প্রতি গ্রামীণ এলাকাতেই তারা তাদের অফিস খুলে অর্থ সংগ্রহ করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মানুষ এদের কথা বিশ্বাস করে টাকা দিচ্ছে। কিন্তু পুলিশের অনুমান টাকা ফেরতের সময় এলেই আবার দেখা যাবে অশান্তি। মুর্শিদাবাদের সঙ্গে সঙ্গে মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন কিছু জেলাতেও এই সংস্থাগুলি বিভিন্নভাবে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে।
প্রত্যন্ত গ্রাম গুলি এই চিটফান্ড কোম্পানিগুলির বিশেষ পছন্দের জায়গা। কোন একটি ব্যাংকের সাফল্যের কাহিনী প্রচার করে যারা মানুষকে মানুষকে ভোলাবার চেষ্টা করছে। এ সম্পর্কে জনৈক্য পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ” মানুষের স্মৃতিশক্তি দুর্বল সেটা আবার প্রমাণ হচ্ছে। চিটফান্ড সংস্থাগুলি বারেবারেই ভোল বদলে এসেছে। আশির দশকেও অনেকেই প্রতারিত হয়েছিল। তারপরও আবার অনেকেই দ্বিগুণ টাকা পাওয়ার আশায় চিটফান্ডের দ্বারস্থ হয়েছিল। এবারও তাই হচ্ছে।”

পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে যে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এই সংস্থাগুলি শহরের পরিবর্তে বেছে নিচ্ছে গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি ব্লকে এক সংস্থা ৫০ জনেরও বেশী এজেন্ট নিয়োগ করেছে। যাদের মোটা টাকা কমিশন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরাই মানুষের বাড়ি বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে তাদের ভুলিয়ে অর্থ সংগ্রহ করছে। দিনমজুর, খেটে খেটে খাওয়া পরিবারগুলি থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ টাকা জমা করছে তাদের ফান্ডে । আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন ২০০ -৫০০ টাকা করে নিয়ে ফান্ডে জমা করছে। আবার বছরে ১৮ শতাংশ সুদের লোভও দেখাচ্ছে। ছোট লোনের কথাও বলছে । গ্রাহকদের প্রভাবিত করার জন্য লোন দিয়েওছে তারা বেশকিছু জনকে।

এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ পুলিস সুপার কে শবরী রাজকুমার জানিয়েছেন, ” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এরকম হয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে এখনও প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েনি।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!